ভ্যালেন্টাইন্স-ডে এর ইতিহাস। মুফতি খাইরুল ইসলাম ফরিদী-ইমাম ও খতীব সুজারপাড়া জামে-মসজিদ উত্তরা ঢাকা।
Автор: Usama media
Загружено: 2025-02-18
Просмотров: 21
Описание:
ভ্যালেন্টাইন্স ডে বা বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের বাস্তব ইতিহাস হলো। যীশু খ্রী'ষ্টের জন্মের প্রায় 400 বছর পূর্বে তৎকালীন পৌত্ত^লিকরা বিভিন্ন জিনিসের জন্য বিভিন্ন প্রভু দা"হ্য করতো এবং তাদেরকে পূজা করতো যেমন বাতাসের জন্য একজন প্রভু দাহ্য করতো। তেমনি বৃষ্টির জন্য একজন প্রভু দাহ্য করতো, তারই ধারাবাহিকতায় জমি উর্বরতার জন্য রুপার/কালিয়া নামে একজন খোদা দাহ্য করতো এবং রুপার কালিয়াকে খুশি করার জন্য ওপেন কনসার্ট এর ব্যবস্থা করতো। সেখানে প্রত্যেক বছর 14 ই ফেব্রুয়ারি আসলে রুপার কালিয়ার নামে যুবতী মেয়েদেরকে লটারি দিত ওই লটারিতে যে ছেলের নাম আসতো সেই যুবক এক বছর পর্যন্ত ওই নারীকে ভোগ করতো এবং রুপার কালিয়ার নামে ছাগল জবাই করতো ওই ছাগলের চামড়াটা ওই নারীর শরীরের উপর পেচিয়ে দিত এবং ওই যুবকের হাতে একটি চাবুক দেওয়া হতো যেই চাবুকে ছাগল এবং কুকুরের রক্ত মেশানো থাকতো। সেই দুই প্রাণীর রক্ত বিশিষ্ট চাবুক দিয়ে ওই নারীর ওপর প্যাঁচানো যেই ছাগলের চামড়াটা আছে সেটার উপর আঘাত করতো, এতে মানুষ মনে করতো যে এই যুবতী বাচ্চা জন্ম দেওয়ার উপযুক্ত হয়েছে। এইভাবে নারীদেরকে এক বছর ভোগ করতো। যখন যীশু খ্রী^ষ্টের জন্ম হলো তখন তারা তো আহলে কিতাব তাই তারা ওই রুপার*কালিয়ার নামে এই ধরনের অবৈধ কাজ করতে পারে না তাই তারা বিভিন্নভাবে মানুষদেরকে হেদায়েতের পথে আহবান করতেছিল কিন্তু ওই সমস্ত পৌত্তলিকদের কলবের ভিতর এত পরিমান নাপা'কি আর গান্ধী^জি ঢুকেছে যে কোনভাবেই তাদেরকে যীশু খ্রী^ষ্টের মতামত অনুসারে ইবাদতের দিকে নিয়ে আসতে পারছে না। পরিশেষে ধর্মযাজক যারা আছে তারা চিন্তা করল কমপক্ষে তাদের ওই সিস্টেমটাকে পাল্টিয়ে দেওয়া দরকার তাই তারা এখন থেকে যুবতীদেরকে বাদ দিয়ে যুবককে লটারি দিয়ে ধর্মযাজকের কাছে একবছর থাকবে সেই শর্তে তারা এখন লটারি দিতে শুরু করলো। যাতে করে যুবকরা হেদায়েতের পথে চলে আসতে পারে।।
এবার প্রশ্ন হল ভ্যালে^ন্টাইন্স ডে এটা কোথা থেকে আসলো এর দুইটা বিবরণ আমরা খুঁজে পাই নাম্বার এক 270 খ্রিস্টাব্দে ক্লডিয়াস নামের রোমান একজন রাজা ছিল যিনি অত্যন্ত যুদ্ধবাজ ছিলেন তিনি চেয়েছিলেন যেন একটা শক্তিশালী সেনাবাহিনী তৈরি করে তাই তিনি ঘোষণা করলেন প্রত্যেককেই যেন কমপক্ষে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন বিশেষ করে নওজোয়ানদের কে এই ঘোষণা দিলেন এই এলানের পরে রোমান যুবকরা কেউ রাজি হয়নি। এতে ক্লডিয়াস অত্যন্ত রাগান্বিত হলেন এবং ঘোষণা দিলেন আজকে থেকে কোন পুরুষ সংসারে যাওয়া বা বিবাহ-শাদী করা সম্পূর্ণ নিষেধ। রোমান অধিবাসীদের মধ্যে সর্বপ্রথম ক্লডিয়াস এর এই ঘোষণার বিপক্ষে বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন একজন ধর্মযাজক যার নাম হলো ভ্যালে^ন্টাইন। এই সংবাদ যখন রোমান সম্রাটের কাছে পৌঁছলো রোমান সম্রাট তাকে জেলখানায় আবদ্ধ করলেন ওই ভ্যালে^ন্টাইন জেলখানার প্রধান রক্ষির মেয়ের সাথে দিনকে দিন, রাতকি রাত ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে দীর্ঘ সময় পার করতে লাগে, একপর্যায়ে রোমান সম্রাট তাকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানোর জন্য আদেশ করে 14 ই ফেব্রুয়ারি ফাঁসির কাষ্ঠে তাকে ঝুলানো হয়। ওই দিক দিয়ে যেই মেয়ের সাথে তার প্রেমের বন্ধন আবদ্ধ হয়েছিল সেই মেয়ে তাকে দেখতে গেলে ওখানে একটা চিরকুট পায় যেখানে ভালোবাসার বিবরণ উল্লেখ করা হয়েছিল। তৎকালীন সময়ে যত প্রেম প্রীতি আর ভালোবাসার লোক ছিল তারা সকলেই যখনই 14 ফেব্রুয়ারি আসতো তখন তার ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে অভ্যর্থনা ও ওপেন কনসার্টের ব্যবস্থা করতো এইভাবে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের সূচনা হয়েছে। এখন আমার কথা হল যদি বিষয়টা এমনই হয় তাহলে একজন মুসল'মান কি করে নিজ ধর্মের সংস্কৃতি বাদ দিয়ে খ্রিস্টীয় ধর্মের পথ পদ্ধ"তি অবলম্বন করতে পারে। আল্লাহতালা সকল মুসলমানকে বোঝার তৌফিক দান করুক, আমিন।
দ্বিতীয়ত আরেকটি বিষয় হল বর্তমান আমেরিকাতে বিভিন্ন স্কুলের দেয়ালিকায় লেখা আছে ভ্যালেন্টাইন নামে একজন মহা ধর্মযাজক ছিল যে যীশু খ্রীষ্টের বাপের ইবাদত করতো ওই সময়কার রাজা তাকে বলেছে তার ইবাদত করতে কিন্তু তিনি তাতে রাজি হয়নি পরিশেষে তাকে জেলখানায় নিয়ে জুলুম নির্যাতন করে 14 ই ফেব্রুয়ারি হত্যা করে, তাই তারা 14 ই ফেব্রুয়ারি আসলে তার ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে অনুশোচনা প্রকাশ করে। এখন আমার প্রশ্ন হল, একজন খ্রি^স্টান যদি তাদের যী"শু খ্রী^ষ্টের পিতার অনুসরণ করে জীবন উৎসর্গ করতে পারে, একজন মুসল^মান কি করে নিজস্ব ধ'র্ম ছেড়ে আরেকজনের অনুসরণ করে ঐদিন ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারে। আল্লাহ তাআলা মুসলিম জাতিকে সঠিক বুঝ দান করুক আমিন আল্লাহ তালা কোরআনুল কারিমে স্পষ্ট বলেছেন ইসলাম ধর্ম এটা কম^প্লিট ধর্ম। এই ধরনের কোন জিনিস অন্য ধর্ম থেকে হাওলাত করে আনতে হয় না। অন্য ধর্মের কোন সংস্কৃতি আমাদেরকে শিখতে হবে না। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রত্যেকটা নওজোয়ান যুবক-যুবতীদেরকে হাশরের মাঠে জিজ্ঞেস করবে তুমি তোমার যৌবনকাল কোথায় ব্যয় করেছ তখন কি জবাব দেওয়া হবে সেদিন এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আরশে আজিমের নিচে প্যান্ডেল তৈরি করে স্পেশিয়াল ভিআইপি সাত শ্রেণীর লোকদেরকে ছায়া দিবেন সেদিনকার একশ্রেণী হবে ওই সমস্ত যুবক-যুবতী যারা তাদের যৌবন কালকে বড় করেছে আল্লাহ তায়ালার ইবাদতে লাগিয়ে। তাই আমি প্রত্যেক মুসলমান নর-নারী যুবক-যুবতীদেরকে বলবো অতিসত্বর ইসলামের ছায়াতলে পরিপূর্ণভাবে ঢু^কে পড়ুন এবং ওই সমস্ত বিধ^র্মীদের কুসং^স্কার অন্তর থেকে দূরে সরিয়ে দিন। আল্লাহতালা বুঝার তৌফিক দান করুন আমিন।
আলোচক
#মুফতী খাইরুল ইসলাম ফরিদী
#Mufti khairul islam foridi
হযরত আর বয়ান
• শাবান মাসের তাৎপর্য ও ফজিলত|মুফতী খাইরুল ই...
• জাহান্নামীদের শাস্তি নিয়ে মায়া ভরা বয়ান...
• রজব ও মে'রাজ এর তাৎপর্য|মুফতি খাইরুল ইসলাম...
• বে নামাজীর শাস্তি|মুফতি খাইরুল ইসলাম ফরিদী
https://www.facebook.com/share/v/15MzJhN2pK/
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: