খালেদা জিয়ার মুক্তি কোন পথে? | প্যারোলে না রাজপথে? | কারামুক্তির আইনগত ৩টি পথ | সাময়িক মুক্তির আবেদন
Автор: SB News TV
Загружено: 2020-03-09
Просмотров: 43
Описание:
খালেদা জিয়ার মুক্তি কোন পথে? | প্যারোলে না রাজপথে? | কারামুক্তির আইনগত ৩টি পথ | সাময়িক মুক্তির আবেদন
প্রিয় দর্শক!
আপনারা দেখছেন এসবি নিউজ টিভির বিশেষ অনুষ্ঠান-"বাংলার হালচাল"
আজকের বিষয়:-খালেদা জিয়ার মুক্তি কোন পথে?
প্যারোলের চেষ্টায় পরিবার।
সাময়িক মুক্তি চেয়ে ভাই শামীম ইস্কান্দারের চিঠি।
কারামুক্তির আইনগতভাবে তিনটি পথ খোলা
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানা আলোচনা।
জামিন পেলে বিদেশে যাবেন এমন কথা উল্লেখ করে পুনরায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবীরা। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন আবেদনে নতুন কোন কারণ না পাওয়ায় কথা জানিয়ে তা খারিজ করে দেন। এর ফলে আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার মুক্তির পথ সংকুচিত হয়ে যায়। ফের সামনে চলে আসে প্যারোলের বিষয়টি। এমন পরিস্থিতিতে পরিবারের পক্ষ থেকে তার সাময়িক মুক্তি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে খালেদা জিয়ার সম্মতিও রয়েছে।
সম্প্রতি পরিবারের পক্ষ থেকে তার সাময়িক মুক্তি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করায় এ গুঞ্জন আরও ডালপালা মেলতে শুরু করেছে। পরিবার ও দলের নেতাকর্মীরা চাচ্ছেন যে কোনো মূল্যে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসা।
এ ক্ষেত্রে প্যারোলে মুক্তির ব্যাপারেও পরিবারের আপত্তি নেই। দলের একটি অংশও পরিবারের সঙ্গে একমত। প্যারোলের ব্যাপারে খালেদা জিয়াকে রাজি করাতে পরিবারের পক্ষ থেকে সব ধরনের চেষ্টাই করা হচ্ছে। তবে এখনও প্যারোলে মুক্তির ব্যাপারে খালেদা জিয়ার মনোভাব নেতিবাচক।
পরিবার ও দলের একটি অংশের পক্ষ থেকে তাকে রাজি করানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এদিকে প্যারোলের আবেদন করা হলেও খালেদা জিয়ার মুক্তি ততটা সহজ হবে বলে মনে করেন না তার আইনজীবীরা। কারণ প্যারোলের বিধি অনুযায়ী আসামির পরিবারের কেউ মারা গেলে সর্বোচ্চ ১২ ঘণ্টার জন্য তাকে মুক্তি দেয়া যায়।
প্রিয় দর্শক!
এদিকে খালেদা জিয়ার ‘সাময়িক মুক্তি’র আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পরিবার ‘সাময়িক মুক্তি’র আবেদন করেছেন। মতামতের জন্য সেটি পাঠানো হয়েছে আইন মন্ত্রণালয়ে। বিকেলে আগারগাঁও পাসপোর্ট ভবনে ‘হজ সেবা বুথ’ উদ্বোধনের পর এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন। মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়টি বিচার বিভাগীয় ব্যবস্থার মাধ্যমেই নিষ্পত্তি করতে হবে।
কারামুক্তির আইনগতভাবে তিনটি পথ :
খালেদা জিয়ার কারামুক্তির জন্য আইনগতভাবে তিনটি পথ খোলা আছে। একটি হল আদালতের জামিন আদেশের মাধ্যমে। দ্বিতীয়টি ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১(১) ধারার ক্ষমতাবলে সরকার মুক্তি দিতে পারে। তৃতীয় পথ হল প্যারোল (শর্ত সাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি)। প্রথম দুটি ক্ষেত্রে আদালতের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
প্যারোল কি, কিভাবে প্যারোলে মুক্তি : প্যারোলে মুক্তি কিভাবে সম্ভব তা নিয়ে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছে ধোঁয়াশা। এ প্রসঙ্গে আইনজীবীরা বলেন, যে কোনো কারাবন্দির প্যারোলে মুক্তি পেতে হলে প্রথমেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্যারোলবিষয়ক নীতিমালাটি বিবেচনায় নিতে হবে। কারণ প্যারোল কি, কিভাবে মুক্তি দেয়া হয় এটা নিয়ে মানুষের খুব একটা ধারণা নেই।
২০১৬ সালের ১ জুন প্রণীত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত নীতিমালায় বলা হয়েছে : ১. ভিআইপি বা অন্যান্য শ্রেণির কয়েদি বা হাজতি বন্দিদের নিকট-আত্মীয় যেমন বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি, স্বামী-স্ত্রী, সন্তান-সন্ততি এবং আপন ভাইবোন মারা গেলে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্যারোলে মুক্তি দেয়া যাবে।
২. ভিআইপি বা অন্যান্য সব শ্রেণির কয়েদি বা হাজতি বন্দিদের নিকট-আত্মীয়ের মৃত্যুর কারণ ছাড়াও কোনো আদালতের আদেশ কিংবা সরকারের বিশেষ সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্যারোলে মুক্তি দেয়া প্রয়োজন হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্যারোলে মুক্তি দেয়া যাবে। তবে উভয় ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও দূরত্ব বিবেচনায় প্যারোল মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ সময় নির্ধারণ করে দেবেন।
৩. বন্দিকে সার্বক্ষণিক পুলিশ প্রহরাধীনে রাখতে হবে।
৪. মুক্তির সময়সীমা কোনো অবস্থাতেই ১২ ঘণ্টার অধিক হবে না তবে বিশেষ ক্ষেত্রে সরকার মুক্তির সময়সীমা হ্রাস বা বৃদ্ধি করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করবেন।
৫. কোনো বন্দি জেলার কেন্দ্রীয় কারাগার, জেলা কারাগার, বিশেষ কারাগার, সাবজেলে আটক থাকলে ওই জেলার অভ্যন্তরে যে কোনো স্থানে মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ প্যারোল মঞ্জুর করতে পারবেন।
অপরদিকে কোনো বন্দি নিজ জেলায় অবস্থিত কেন্দ্রীয়, জেলা, বিশেষ কারাগার, সাবজেলে আটক না থেকে অন্য জেলায় অবস্থিত কোনো কেন্দ্রীয়, জেলা, বিশেষ কারাগার, সাবজেলে আটক থাকলে গন্তব্যের দূরত্ব বিবেচনা করে মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ প্যারোল মঞ্জুর করতে পারবেন।
তবে উভয় ক্ষেত্রেই দুর্গম এলাকা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, দূরত্ব ও নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া হয়। এক্ষেত্রে মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ প্যারোল মঞ্জুর কিংবা নামঞ্জুরের ক্ষমতা সংরক্ষণ করবেন।
৬. কারাগারের ফটক থেকে প্যারোলে মুক্ত বন্দিকে পুলিশ বুঝে নেয়ার পর অনুমোদিত সময়সীমার মধ্যেই তাকে কারাগারে ফেরত নিয়ে আসবেন।
৭. আর সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্যারোল মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে বিবেচিত হবেন।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: