তর্পন | আপনি কেন তর্পন করবেন? | তর্পণ করলে কি হয়?
Автор: Antar jagater barta
Загружено: 2022-01-14
Просмотров: 177
Описание:
তর্পন কেন করা হয়, সত্যিই কি তর্পনের উৎসর্গকৃত জল পিতৃ পুরুষেরা গ্রহণ করে?
Antar jagater barta
পিতৃলােকের পরিতৃপ্তির জন্যই তর্পণের প্রয়ােজন।
যে সকল মানুষ প্রিয়জনের প্রতি পার্থিব বাসনা ত্যাগ করতে পারে তাদেরই পিতৃলােকে গমন হয়। আর তাদের পরিতৃপ্তির জন্যই তর্পণ প্রয়ােজন। আমরা যেমন স্বপ্নের মধ্যে খেলে আমাদের ওই অবস্থায় পেট ভরে যায়, তেমন শ্রাদ্ধ-তর্পণ সূক্ষ্মভাবে পিতৃলােকের আপনজনদের পরিতৃপ্ত করে তারা আশা করে বসে থাকে এই শ্রাদ্ধ-তর্পণের জন্য। শ্রাদ্ধের কাজ ফুরিয়ে গেলেও তর্পণ আজীবন করতে হয়। কেননা শ্রাদ্ধ হয় বিশেষভাবে একজনের উদ্দেশ্যে এবং তর্পণ হয় সকল পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে। আগেকার দিনে সকলে স্নানের সময় প্রত্যহ তর্পণ করত। এটা একটা নিত্য নৈমিত্তিক কর্ম ছিল। বর্তমানে অবিশ্বাসের যুগে তা প্রায় উঠে গেছে। কেবল কেউ কেউ দূর্গাপূজার পূর্বে পিতৃপক্ষের অমাবস্যায় মহালয়ার নির্দিষ্ট দিনে এই কাজ করে। পরলােকগত পিতৃপুরুষেরা আমাদের কাছে এই তর্পণটুকুই আশা করে। যদি বল, তারা যে তর্পণ নেয় তার প্রমাণ কি? তবে বলতে হয় - তুমি তােমার বাবার বাবা অথবা তার বাবাকে দেখনি বলে কি সে ছিল না? অথবা তাকে এখন প্রমাণ বা প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে না। তর্পণের মাধ্যমে পিতৃ পুরুষদের মানসিক পিপাসার পরিতৃপ্তি হয়।
যতদিন পার্থিব বাসনা আছে ততদিন বার বার জন্মাতে হয়। তাই জন্মাবার পূর্বে তাদের পরিতৃপ্তির জন্য তর্পণ করার নিয়ম। নতুবা পিতৃপুরুষদের অভিশাপে পড়তে হয়। তাতে জীবনে দুঃখ-অশান্তি নেমে আসে। তবে বেঁচে থাকাকালীন যাদের পার্থিব চাহিদা হতে মুক্তি হয়ে গেছে, তাদের জন্য তর্পণের প্রয়ােজন হয় না। সেইজন্য দেবলােক ও গুরূলােকে তর্পণের প্রয়ােজন নেই । তবে শ্রদ্ধা জানানাের জন্য করা যেতে পারে। যেমন দেবতারা পূজা দ্বারা সন্তুষ্ট হন তেমন গুরুরা সাধন-ভজন দ্বারা সন্তুষ্ট হন। তাই সাধন-ভজন দ্বারা গুরুলােকের পরিতৃপ্তি হয় ও পূজা দ্বারা দেবলােকের পরিতৃপ্তি হয়। আর পিতৃলােকের মূল পূজা হল তর্পণ । তর্পণ দ্বারাই তারা বেশি সন্তুষ্ট হয়।
অন্তর জগতের বার্তা
তথ্য সংগ্রহ - দিব্যবন্ধু দ্বারা রচিত মৃত্যুর সাথে আলাপ গ্রন্থ থেকে
দেবতাদেরও সূক্ষ্ম বাসনা আছে। তাই তারা
নিজেদের পূজা চায়, কিন্তু গুরুদের নিজেদের কোন বাসনা নেই, তাঁরা চান সমস্ত মানুষ সাধন-ভজন দ্বারা তাদের নিজেদের আত্ম উন্নতি করুক। সুতরাং সাধন-ভজন দ্বারা নিজের আত্ম উন্নতির প্রচেষ্টাতেই গুরুলােক সন্তুষ্ট হয়। আর গুরুলােক দেবলােকের উদ্ধে। তাই প্রধান তিন দেবতা, যথা – ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর হলেন গুরুলােকের প্রধান তিন গুরু। সেইজন্যে গুরুমন্ত্রে বলা হয়েছে - গুরুব্রহ্মা, গুরুবিষ্ণু, গুরুর্দেব মহেশ্বর। এর উর্দ্ধে সর্বব্যাপী নিণ চৈতন্য গুরু, যাকে পরব্রহ্ম বলা হয় । সেইজন্য গুরুদেব পরমব্রহ্ম তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ। তাই ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরের ছবিতে আমরা দেখতে পাই, তারাও পরব্রহ্মের ধ্যানে সমাহিত । সেইজন্য তর্পণ দ্বারা পিতৃপুরুষদের, পূজা দ্বারা দেবতাদের ও সাধন-ভজন দ্বারা গুরুদের সন্তুষ্ট করার প্রথা অতি প্রাচীন।
অন্তর জগতের বার্তা
antar jagater barta
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: