প্রানীদের অসাধারন কিছু ক্ষমতা | অজানা ডায়েরি
Автор: অজানা ডায়েরি
Загружено: 2019-11-07
Просмотров: 80
Описание:
প্রানী জগত মানুষের কাছে বরাবরই বিস্ময়কর। প্রায় প্রতিদিনই আমরা নতুন কিছু জানছি এ জগত সম্পর্কে। রহস্যময় এ জগত সম্পর্কে যেন জানার আর শেষ নেই। যদিও সৃষ্টির সবচেয়ে উঁচু স্থানে রয়েছে মানুষ। এটা মূলত তাদের জ্ঞান বুদ্ধি এবং শারীরিক গঠন এর কারনে। তবে শারীরিক ক্ষমতার দিক দিয়ে মানুষ অনেক ক্ষেত্রেই প্রানীদের চাইতে পিছিয়ে রয়েছে। প্রায় প্রতিটি প্রানীর কিছু বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে এবং এর মধ্যে কিছু কিছু খুবই বিস্ময়কর। চলুন এরকম কিছু প্রানী আর তাদের ক্ষমতা সম্পর্কে জানা যাক…
হাঙ্গর
প্রাকৃতিক ভাবেই এক দক্ষ শিকারী হাঙ্গর। এর মস্তিস্কে বিশেষ কিছু কোষ রয়েছে, যা অন্য প্রানীদের শরীর থেকে তৈরি হওয়া ইলেক্ট্রিক ফিল্ড সনাক্ত করতে পারে। তাই সমুদ্রের তলদেশে বালির নিচে লুকিয়ে থাকা ছোট একটি মাছও হাঙ্গরের কাছ থেকে লুকিয়ে থাকতে পারে না।
এমনকি পানিতে এক ফোটা রক্ত এরা সনাক্ত করতে পারে কয়েক মাইল দূর থেকে। তাই পানির নিচে কখনো হাঙ্গর দেখলে পাথর বা লতা-পাতার আড়ালে লুকানোর চেস্টা করাটা সম্পূর্ন বৃথা।
অক্টোপাস
অক্টোপাস বরাবরই মানুষের কাছে একটি রহস্যময় প্রানী। আমরা যদিও জানি এদের ৮টি পা রয়েছে, তবে এগুলো আসলে বাহু। আত্নরক্ষার জন্য এরা শরীরের রঙ বদল করে ফেলতে পারে। পালিয়ে যাওয়ার সময় দেহ থেকে এক ধরনের কালি ছুঁড়ে মারে যা পানিকে অন্ধকার করে দেয়।
এদের দেহে রয়েছে ৩টি হৃদপিন্ড। ব্লু রিংড অক্টোপাস এর দেহে রয়েছে মারাত্নক বিষ যার সংস্পর্শে মানুষের মৃত্যু ঘটা সম্ভব খুবই দ্রুত।
বাদুড়
প্রানী জগতের এক বিস্ময়কর সৃষ্টি বাদুড়। আমরা সবাই জানি এরা পাখি নয়। কারন এদের দেহ লোম দিয়ে দিয়ে ঢাকা, পালক নয়। তাছাড়া এরা নিশাচর প্রানী। বাদুড়ের চোখ থাকলেও দেখার ক্ষমতা খুবই সীমিত। রাতের বেলা চলাচলের সময় এরা শব্দের প্রতিধনি ব্যবহার করে। উড়ার সময় এরা আল্ট্রাসনিক শব্দ তৈরি করে।
এরপর এই শব্দের প্রতিধনি শুনে সামনে থাকা বস্তু সম্পর্কে ধারনা লাভ করে এবং পথের নির্দেশনা পায়। তবে অনেক সময় বাদুড় বিদ্যুতের তারে ধাক্কা খায়। কারন সুক্ষ তারে শব্দ ঠিক মত প্রতিফলিত হয় না। আর বলাই বাহুল্য, আল্ট্রাসনিক শব্দ শোনার ক্ষমতা মানুষের নেই।
বোয়া
সাপ নিঃসন্দেহে পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর প্রানীগুলোর মধ্যে একটি। মূলত এদের বিষ এবং নিঃশব্দ ও সুক্ষ চলাফেরাই এর কারন। বোয়া অন্যান্য সাপ থেকে ভিন্ন হওয়ার কারন হলো একদম অন্ধকারে না দেখেও এর শিকার করার ক্ষমতার কারনে।
এদের চোখের কাছাকাছি রয়েছে এক ধরনের অর্গান যেটি অন্য কোন প্রানীর দেহের তাপমাত্রার উপর ভিত্তি করে তাদের সঠিক অবস্থান নির্নয় করতে পারে। আর তাই পুরোপুরি অন্ধকারেও এরা শিকার কে খুঁজে বের করতে পারে সহজেই।
হামিংবার্ড
পাখিদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট হলেও বিশেষ ক্ষমতার দিক দিয়ে কিন্তু হামিংবার্ড পিছিয়ে নেই। প্রতি সেকেন্ডে এরা ১৫ থেকে ৮০ বার এর মত পাখা নাড়তে পারে।
আর এর ফলে এরা বাতাসে ভেসে থাকতে পারে ঠিক হেলিকপ্টার এর মত। আরেকটি বিশেষ ক্ষমতা হলো এরা পিছন দিকে উড়তে পারে, যেটি আর কোন পাখি পারে না।
বিড়াল
বিড়াল একটি ঘরোয়া প্রানী বলে এর সম্পর্কে সবারই কম বেশি জানা আছে। অসাধারন চোখের ক্ষমতা সম্পন্ন কিছু প্রানীর মধ্যে বিড়াল একটি। পুরোপুরি অন্ধকারেও এরা একদম পরিস্কার দেখতে পায়।
আর তাই ঘরের ভিতর ছুটে বেড়ানো ছোট ছোট ইদুর গুলো রাতের বেলা ধরতে এদের কোন সমস্যা হয় না।
কুমির
কুমির তাদের চোয়ালের শক্তির কারনে বিখ্যাত। এদের দুই চোয়ালের মাঝের চাপ ক্ষেত্র বিশেষে এক টন! পর্যন্ত হতে পারে। তাছাড়া এরা ইচ্ছা করে কছু পাথর গিলে থাকে যেগুলো এদের পেটে সবসময় অবস্থান করে।
এসব পাথর কুমিরদের শারিরীক ভারসাম্য রক্ষা এবং খাবার হজমে সহায়তা করে। আর বলাই বাহুল্য, এদের খাদ্য তালিকা থেকে মাছ, হরিন, জেব্রা, জিরাফ, বন্য গরু এমনকি ছোট কুমিরও বাদ যায় না!
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: