Socrates | সক্রেটিস | প্রাচীন গ্রিস দার্শনিক সক্রেটিস | Ancient Greek Philosopher | সক্রেটিসের জীবনী

Описание: এক "আমি জানি যে আমি কিছুই জানি না।"
– এই উক্তি সক্রেটিসের অন্যতম বিখ্যাত উক্তি, যা তাঁর বিনম্রতাকে প্রকাশ করে এবং আত্ম-পরীক্ষার প্রতি তাঁর গুরুত্ব দেয়। এর মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে প্রকৃত জ্ঞান হলো নিজের অজ্ঞতা স্বীকার করা।

দুই "অপরীক্ষিত জীবন বেঁচে থাকার মতো নয়।"
– সক্রেটিসের এই উক্তি জীবনের উদ্দেশ্য এবং মানে নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনার গুরুত্ব বোঝায়। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, নিজেকে এবং নিজের জীবনের প্রতিটি দিককে পর্যালোচনা করা না হলে জীবন মূল্যহীন।

তিন "জ্ঞানই গুণ।"
– সক্রেটিসের মতে, জ্ঞান এবং নৈতিকতা অভিন্ন। তিনি মনে করতেন যে, সৎকর্মের জন্য সঠিক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। সত্যিকার জ্ঞান অর্জন করলে মানুষ স্বাভাবিকভাবেই সৎকর্ম করতে পারে।

চার "নিজেকে জানো।"
– সক্রেটিস মানুষের আত্ম-পরিচয় এবং আত্ম-জ্ঞানকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে মনে করতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, নিজেকে জানার মাধ্যমেই প্রকৃত জ্ঞান এবং নৈতিক উন্নতি সম্ভব।

পাঁচ "মানুষ শুধু খাদ্যের জন্য বাঁচে না, সে বাঁচে আত্মার জন্য।"
– এই উক্তির মাধ্যমে সক্রেটিস বোঝাতে চেয়েছেন যে, মানুষের জীবন কেবল শারীরিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য নয়, বরং আত্মার উন্নতি এবং মানসিক বিকাশের জন্যও।

ছয় "সত্য এবং ন্যায়ের প্রতি নির্ভীক থাকো, এমনকি যদি এটি মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়।"
– সক্রেটিস তাঁর নিজের জীবনে এই নীতিকে অনুসরণ করেছিলেন। সত্য ও ন্যায়ের পথে থাকার জন্য তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।

সাত "মিথ্যার সবচেয়ে বড় ক্ষতি হলো, তা আত্মাকে নষ্ট করে।"
– সক্রেটিসের মতে, মিথ্যা শুধু সমাজের জন্য ক্ষতিকর নয়, এটি মানুষের আত্মার জন্যও ধ্বংসাত্মক।

আট "জ্ঞানের শুরু হয় বিস্ময় থেকে।"
– সক্রেটিসের মতে, মানুষের মধ্যে প্রশ্ন জাগ্রত করা এবং আশ্চর্যের অনুভূতি থেকেই প্রকৃত জ্ঞানার্জনের সূচনা হয়।

নয় "বুদ্ধিমানেরা কথা বলেন কারণ তাদের কিছু বলার আছে; নির্বোধেরা কথা বলেন কারণ তাদের কিছু বলা উচিত।"
– এই উক্তি দিয়ে সক্রেটিস বোঝাতে চেয়েছেন যে, চিন্তাশীল এবং জ্ঞানী ব্যক্তিরা প্রয়োজনীয় বিষয়েই কথা বলেন, যেখানে অজ্ঞ ব্যক্তিরা প্রায়শই অহেতুক কথা বলে থাকেন।

দশ "ভয় এবং লোভের অধীন হওয়া মানুষের কৃত্রিম ব্যর্থতা।"
– এই উক্তির মাধ্যমে সক্রেটিস বোঝাতে চেয়েছেন যে, মানুষের ভয় এবং লোভই তাকে সৎ ও সঠিক কাজ থেকে বিরত রাখে।