যে ক্ষতি হতে পারে অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক সেবনে? এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্সWhat is antibiotic resistance
Автор: Moriom Khatun Mou
Загружено: 2022-06-27
Просмотров: 55
Описание:
অ্যান্টিবায়োটিক্স আসলে কী?
অ্যান্টিবায়োটিকের মূল লক্ষ্য কী?
অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক সেবনে সে সমস্যা হতে পারে
এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স কী?
ইনফেকশন বা সংক্রমণ কোন পর্যায়ে গেলে এন্টিবায়োটিক খাওয় উচিৎ
অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক সেবনে কিক্ষতি হতে পারে ? এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্সWhat is antibiotic resistance
What exactly are antibiotics?
What is the main goal of antibiotics?
Excessive antibiotic use can cause that problem
What is antibiotic resistance?
Antibiotics should be taken at any stage of infection
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যতম আশীর্বাদ হলো অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার। এর ফলে এমন অনেক রোগের চিকিৎসা সম্ভব হচ্ছে, যেগুলোর কারণে এক সময় মানুষ মারা যেত। তবে অ্যান্টিবায়োটিকের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার ও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া সেবনে ক্ষতির কারণ হয়েছে।
অ্যান্টিবায়োটিকের অপর নাম অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল ড্রাগ। এগুলো হলো এমন এক ধরনের ওষুধ যা মানুষ এবং পশু উভয়ের শরীরেই ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত ইনফেকশনের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এক্ষেত্রে তারা হয় ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলে, নয়তো ব্যাকটেরিয়ার দৈহিক বৃদ্ধি ও বংশবিস্তার রোধ করে। তবে অ্যান্টিবায়োটিক কেবল নির্দিষ্ট কিছু ব্যাকটেরিয়াঘটিত ইনফেকশনই প্রতিরোধ করে। ভাইরাসের উপর এরা কোনও প্রভাব বিস্তার করতে পারে না।
শরীর একটু খারাপ হলেই 'সেলফ প্রেসক্রাইবড' অ্যান্টিবায়োটিক্স খাওয়া এখন জলভাত। আর তাই ওই সব ওষুধে অত্যন্ত অভ্যস্ত হয়েপড়ার জন্যই বেশকিছু ওষুধের কার্যকারীতাও কমে যাচ্ছে। কিছু ক্ষতিও হচ্ছে শরীরের।
অ্যান্টিবায়োটিক্স আসলে কী?
অ্যান্টিবায়োটিক্স বা অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল আসলে এক ধরনের ক্ষমতাশালী ওষুধ যা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচায়। অ্যান্টিবায়োটিকের মূল লক্ষ্য থাকে রোগের জীবাণু একদম মেরে ফেলা।
ইনফেকশন বা সংক্রমণ প্রথামিক পর্যায়ে এন্টিবায়োটিক খাওয়া ঠিক নয়। ইনফেকশন বা সংক্রমণ দ্বিতীয় পর্যায়ে যায় তবেই এন্টিবায়োটিক খাওয়া যেতে পারে।
সাধারণত ভাইরাল ইনফেকশন যেমন সর্দি,কাশি জ্বর এসবে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাবহার করা উচিত নয়।
এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স কী?
এন্টিবায়োটিক রেজিষ্টেন্স চিকিৎসা বিজ্ঞানে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। যখন ব্যাক্টেরিয়ার উপর এন্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা থাকে না তখনই জীবাণুর বিরুদ্ধে এন্টিবায়োটিক কাজ করে না। কতিপয় ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিকের আক্রমণ থেকে বেঁচে থাকার ক্ষমতা অর্জন করে। এরা অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতিতে অভিযোজিত হয়ে যায় বলে, নিজেদের স্বাভাবিক গতিতে বেড়ে উঠতে ও বংশবিস্তার করতে পারে। ফলে মানুষ বা পশুর শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। আগে যে অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে তাদের রোগ সেরে যেত, এখন আর সেই অ্যান্টিবায়োটিকে তা সারে না, বরং ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে। এন্টিবায়োটিক কাজ না করলে রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার কোনো উপায় থাকে না। এমন ক্ষেত্রে অনেক সময় মৃত্যু অবধারিত হয়ে উঠে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী প্রতিবছর ৭ লাখ মানুষ মারা যায় এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্সের কারণে।
কয়েকটি কারণে এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স হতে পারে। সাধারণত প্রয়োজনের অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক সেবনে অথবা ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন করে দেওয়া ডোজ সম্পূর্ণ শেষ হওয়ার আগেই তা ছেড়ে দিলে শরীরের ব্যাকটেরিয়া মিউটেটেড বা পরিবর্তিত হয়ে শক্তিশালী ব্যাক্টেরিয়ায় রূপান্তরিত হয় যার উপর এন্টিবায়োটিকের কোনো প্রভাব পরে না।
ক্লেবসিলা ব্যাকটেরিয়া থেকে এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স পাওয়া যায় অনেক ক্ষেত্রে। ক্লেবসিলা, যাকে সাধারণত খুবই অকার্যকর ব্যাকটেরিয়া হিসেবে ধরে নেয়া হয়, ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়ে এটি রেজিস্টেন্স তৈরি করে, যার বিরুদ্ধে কোনো এন্টিবায়োটিক অথবা ড্রাগ কাজ করে না।
অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক সেবনে সে সমস্যা হতে পারে
অনেক ওষুধের মতোই এটির বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।
প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিতে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রির নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বাংলাদেশে।
কিন্তু অনেকেই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খান ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই। আবার অনেকে নির্দিষ্ট কোর্স শেষ করেন না।
অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার পাশাপাশি অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস হয়, যা শ্বেত রক্তকণিকার কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। গবেষণা বলে, ওষুধের প্রতি নিয়মিত নির্ভরশীলতার কারণে শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন না করাই সবচাইতে ভালো।
ওজন বাড়ায়: বিভিন্ন গবেষনায় দেখা গেছে অনেক ডেইরি ফার্মে পশুদের মোটা-তাজা করার জন্য এন্টিবায়োটিক খাওয়ানো হয়। এই এন্টিবায়োটিক ওষুধ মানুষের শরীরেও একই প্রভাব ফেলে। এন্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে খেতে ধীরে ধীরে শরীরের ওজন বেড়ে যায়।
টাইপ ওয়ান ডায়বেটিক এর আশঙ্কা: যদিও এন্টিবায়োটিক শরীরের অনেক ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস করে ফেলে কিন্তু খুব কম বয়স থেকে অনেক বেশি এন্টিবায়োটিক খেলে ভবিষ্যতে তাদের টাইপ ওয়ান ডায়বেটিক্স হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
শরীরের প্রয়োজনীয় ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস করে ফেলে: অনেক ব্যাক্টেরিয়া আছে যা মানুষের শরীরের জন্য অন্তত্য প্রয়োজনীয়। যেমন ‘এইচ পাইলোরি’। কিন্তু এন্টিবায়োটিকের উচ্চমাত্রার ডোজে এই ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস হয়ে যায়। যার ফলে হাঁপানি রোগ হতে পারে।
রোগ
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়: অতিরিক্ত মাত্রায় এন্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ার সবথেকে ক্ষতিকর দিক হলো একসময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। কোনো এন্টিবায়োটিকই আর কাজ করেনা। সহজে কোনো ইনফেকশন শুকায় না।
প্রথমে আমাদের বেশি প্রায়োরিটি দেওয়া উচিত মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করার বিষয়ে। ডাক্তারের প্রেসক্রাইব করা ওষুধের ডোজ সঠিকভাবে সম্পূর্ণ করার বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিথেকে অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: