mohastanপুন্ড্রবর্ধনে/শাহ সুলতান বলখী মাহিসাওয়ারের মাজার শরীফ/মহাস্থানগড়, বগুড়া, বাংলাদেশ Ishq TV
Автор: Ishq TV
Загружено: 2020-08-30
Просмотров: 1028
Описание:
শাহ্
সুলতান বলখী
মাহিসাওয়ার (মাছ আরোহী)
Mazar Sharif of Shah Sultan Balkhi Mahisawar
শাহ সুলতান বলখী মাহিসাওয়ারের মাজার শরীফ
অন্য নাম বলখী মাহিসাওয়ার
ব্যক্তিগত
জন্ম বালখ, বর্তমান আফগানিস্তান
মৃত্যু মহাস্থানগড়, পুণ্ড্র (বর্তমান বগুড়া, বাংলাদেশ)
সমাধি সুলতান বলখির মাজার, শাহেবগঞ্জ, বগুড়া
ধর্ম ইসলাম
পিতামাতা
শাহ আসগর আলী বালখী (পিতা)
অন্য নাম বলখী মাহিসাওয়ার
মুসলিম নেতা
ভিত্তিক মহাস্থানগড় , পুণ্ড্রবর্ধন
কাজের মেয়াদ ১৪শ শতাব্দী
শাহ সুলতান বলখী (ফার্সি: شاه سلطان بلخی)বা শাহ সুলতান বলখী মাহিসাওয়ার ১৪শ শতাব্দির মুসলিম ধর্ম প্রচারক] তিনি পুণ্ড্রবর্ধন (বর্তমান বগুড়া জেলা) এবং সন্দ্বীপ ইসলাম প্রচার করেছিলেন।
প্রাথমিক জীবন
তিনি আফগানিস্তানের বালখ রাজ্যের সম্রাট ছিলেন।[২] তিনি ছিলেন বালখ রাজ্যের সম্রাট শাহ আলী আসগরের পুত্র, পিতার মৃত্যুর পর তাকেই সম্রাট হিসেবে ঘোষণা করা হয়[৩] কিন্তু তিনি তার সাম্রাজ্য ছেড়ে দরবেশ হয়েছিলেন, ৪৪ হিজরীতে তিনি পুন্ড্রবর্ধনে আসার আগে প্রথমে বাংলার সন্দ্বীপে পৌছেন। পরে তিনি মহাস্তান গড়ে (পুন্ড্রবর্ধনের রাজধানী)আসেন।[২]
পুন্ড্রবর্ধন জ/য়
সুলতান বলখী ১৪শ শতাব্দীতে পুন্ড্রবর্ধনের রাজা পরশুরামকে পরাজিত করে পুন্ড্রবর্ধন জয় করেন[১] অন্য একটি উৎস থেকে জানা যায় তিনি ১৩৪৩ খ্রিস্টাব্দে রাজা পরশুরামকে পরাজিত করেন[৪] পরশুরাম ছিলেন পন্ড্রবর্ধনের শেষ রাজা[৫] কথিত আছে শাহ সুলতান তার শীষ্যদের নিয়ে ফকিরবেশে একটি মাছ আকৃতির নৌকাতে করে মহাস্থানগড় এসেছিলেন সেখান থেকে তার নাম এসেছে মাহিসাওয়ার[৬] (মাছের পিঠে করে আগমণকারী) এবং তিনি বলখ থেকে এসেছিলেন সেজন্য তাকে শাহ সুলতান বলখী ও বলা হয়। মহাস্থানগড় পৌছে তিনি ইসলামের দাওয়াত দিতে থাকেন, প্রথমে রাজা পরশুরামের সেনাপ্রধান, মন্ত্রি এবং কিছু সাধারণ মানুষ ইসলামের বার্তা গ্রহণ করে মুসলিম হয়, এভাবে পুন্ড্রবর্ধনের মানুষ হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে থাকলে রাজা পরশুরামের সাথে শাহ সুলতানের বিরোধ বাধে এবং এক সময় যুদ্ধ শুরু হয়, যুদ্ধে রাজা পরশুরাম পরাজিত এবং মৃত্যু বরন করেন।[৪] বাবার মৃত্যুর সংবাদ শুনে রাজার মেয়ে রাজকন্যা শিলাদেবী করতোয়া নদীতে ডুবে মরেন। তার ডুবে যাওয়ার আশেপাশের অঞ্চলটি শিলা দেবীর ঘাট হিসাবে পরিচিত।[৭]
উত্তরাধিকার
বালখী কীভাবে এবং কখন মারা গিয়েছিল তা অজানা। ১৬৮৫ সালে মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের রাজত্বকালে বলখীর দরগা ভাড়ামুক্ত জমি ছিল এবং সৈয়দ মুহাম্মদ তাহির, সৈয়দ আবদুর রহমান এবং সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাকে সনদ জারি করা হয়েছিল। বালখীর মাজারে গেট প্রবেশের নাম বুড়ি কা দরজা যা মুঘলরা তৈরি করে। ১৭১৯ সালে সম্রাট ফররুখসিয়রের রাজত্বকালে খোদাদিল মাজারের নিকটে একটি বৃহত একক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন যা আজও প্রচলিত রয়েছে।[৮] মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি। প্রসিদ্ধ এই নগরী ইতিহাসে পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর নামেও পরিচিত ছিল।[১][২][৩] এক সময় মহাস্থানগড় বাংলার রাজধানী ছিল। যিশু খ্রিষ্টের জন্মেরও আগে অর্থাৎ প্রায় আড়াই হাজার বছর পূর্বে এখানে সভ্য জনপদ গড়ে উঠেছিল প্রত্নতাত্ত্বিক ভাবেই তার প্রমাণ মিলেছে। ২০১৬ সালে এটি সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে ঘোষণা হয়।[৪][৫]
প্রাচীর বেষ্টিত এই নগরীর ভেতর রয়েছে বিভিন্ন আমলের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। কয়েক শতাব্দী পর্যন্ত এ স্থান মৌর্য, গুপ্ত, পাল ও সেন শাসকবর্গের প্রাদেশিক রাজধানী ও পরবর্তীকালে হিন্দু সামন্ত রাজাদের রাজধানী ছিল। তৃতীয় খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে পঞ্চদশ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত অসংখ্য হিন্দু রাজা ও অন্যান্য ধর্মের রাজারা রাজত্ব করেন। মহাস্থানগড়ের অবস্থান বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় ।[৩] বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১৩ কি.মি. উত্তরে করতোয়া নদীর পশ্চিম তীরে গেলে এই শহরের ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়৷।
পরিচ্ছেদসমূহ
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: