পঞ্চগড়ে কাদিয়ানি ইজতেমা বন্ধ না হলে আন্দোলন। প্রসঙ্গ; কাদিয়ানী মাহফিল ও কাদিয়ানী ইজতেমা।

Описание: কাদিয়ানীদের তথাকথিত ষড়যন্ত্রমূলক সালনা জলসা বন্ধ করার দাবি।
পঞ্চগড়ের আহমদনগরে কথিত মুসলিম নামধারী কাদিয়ানী অমুসলিমরা জাতীয় সালানা জলসার নামে ঈমানবিধ্বংসী আয়োজনের পায়তারা চালাচ্ছে। অনতিবিলম্বে এ কার্যক্রম বন্ধ করতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে ইন্ট্যারন্যাশনাল খতমে নবুওয়ত মুভমেন্ট বাংলাদেশের আমির মুফতী শুয়াইব ইবরাহীম হাফি.।
তিনি বলেন কাদিয়ানীরা নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শেষ নবী বিশ্বাস করে না। বরং মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীকে (মৃত-১৯০৮ইং) তারা নবী বিশ্বাস করে। তাই তারা নিশ্চিতভাবে কাফের। অথচ নিজেদেরকে তারা আহমদি মুসলমান পরিচয় দিয়ে সাধারণ মুসলামনদের সাথে প্রতারণা করে।
এই প্রতারণার অংশ হিসেব আগামি ৩, ৪ ও ৫ মার্চ ২০২৩ ইং পঞ্চগড় জেলার তেলিপাড়া আহমদনগরে কাদিয়ানীদের তথাকথিত ষড়যন্ত্রমূলক 'ন্যাশনাল সালানা জলসা-এর মাধ্যমে ইসলামের নামে কুফুরি মতাদর্শ বিস্তারের পাঁয়তারা করছে। ফলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হওয়ার আশংকা দেখা দিচ্ছে। তাই অনতিবিলম্বে কাদিয়ানীদের ষড়যন্ত্রমূলক এ জলসা বন্ধ করতে হবে।
সরকার বিগত ২০১৯ সালে পঞ্চগড়ে তাদের সম্মেলন বাস্তবায়ন করতে না দেয়ায় আমরা সরকারকে সাধুবাদ জানাই। সেই সাথে সরকারের কাছে এই প্রত্যাশাও রাখি যে, আগামীতে এদেশের ধর্মপ্রাণ জনসাধারণের ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষায় সরকার তাদের পাশেই থাকবে।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, খতমে নবুওয়তের অস্বীকারকারী ব্রিটিশের পা-চাটা গোলাম, মুসলিম উম্মাহর জঘন্য শত্রু, মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী নবুয়তের ধারাবাহিকতা সমাপ্ত হওয়ার বিষয়কে অস্বীকার করে। ব্রিটিশদের দালালি ও মুসলমানদের ধোঁকা দেয়ার নিমিত্তে মিথ্যা নবুয়ত দাবি করেছিল সে। ভারত সা¤্রাজ্যকে যেসব ব্রিটিশ বেনিয়া দীর্ঘ ১৯০ বছর গ্রাস করেছিল, তাদের তল্পিবাহক হয়ে মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী ভন্ড নবুয়তের দাবিদার সেজে ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য প্রোপাগান্ডায় লিপ্ত হয়।
সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মুসলমান-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষ এদেশে একসাথে মিলেমিশে বসবাস করে। কিন্তু 'আহমদীয়া মুসলিম জামাত' নামধারী কাদিয়ানী সম্প্রদায় মুসলমানের পরিচয় বহন করে তারা তাদের কুফরি মতবাদ প্রচার করে মুসলমানদের ঈমান ধ্বংস করছে। দেশের প্রতিটি নাগরিক মুক্ত ও স্বাধীনভাবে তাদের ধর্ম পালন করা এবং আপন ধর্ম ও ধর্মের আচার-ব্যবহার সংরক্ষণ করতে পারা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। পক্ষান্তরে কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা, অপব্যখ্যার মাধ্যমে ধর্ম নিয়ে ছিনি মিনি খেলা সংবিধান লংঘন ও শান্তি বিনষ্টের অশুভ পায়তারা। আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি যে, কাদিয়ানী সম্প্রদায় ইসলাম, ইসলামের নবী, কোরআন-হাদিস এবং মুসলমান সম্প্রদায়কে অব্যাহতভাবে আঘাত করে যাচ্ছে। ইসলামের আকীদা বিশ্বাসের মূলে কুঠারাঘাত করা, কোরআন-হাদীসের অপব্যাখ্যা করা, নবীকে শেষ নবী না মানা এবং মুসলমানদেরক কাফের আখ্যায়িত করার মাধ্যমে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার এবং সংবিধান লংঘনের চুড়ান্ত স্তরে তারা পৌঁছেছে।
এদেশের মুসলমানদের ঈমান আক্বিদা হেফাজতের জন্য, তাদের প্রতারণা ও ধোঁকায় পড়ে ঈমানহারা হওয়ার হাত থেকে সাধারণ মুসলমানকে বাঁচানোর জন্য পঞ্চগড়ের আহমদ নগরে কাদিয়ানীরা যে সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে তা বন্ধ করতে সরকারের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি। অন্যথায় এরজন্য কোন অস্থিতিশীল পরিবেশ দেশে সৃষ্টি হলে এর সকল দায়ভার কাদিয়ানীদের নিতে হবে।
কাদিয়ানীদের তথাকথিত ষড়যন্ত্রমূলক সালনা জলসা বন্ধ করার দাবি।


================================
⚠️ANTI-PIRACY WARNING⚠️
Any unauthorized reproduction, redistribution, or re-uploading of this material is strictly prohibited. Legal actions will be taken against those who violate the কাদিয়ানী সমাচার Or YouTube copyright rule.
===============================

#কাদিয়ানী_ইজতেমা
#পঞ্চগড়ে_কাদিয়ানী_ইজতেমা
#qadiani