রাজশাহীর ঐতিহাসিক প্রেমতলি গৌরাঙ্গী খেতুর ধাম মন্দির • Gourangi Khetur Dham Premtoli Godagari
Автор: Ah Ornob 25
Загружено: 2024-08-15
Просмотров: 568
Описание:
শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ খেতুরী ধাম || প্রেমতলী, গোদাগাড়ী, রাজশাহী
ইতিহাস:-
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলী এলাকায় অবস্থিত খেতুর ধাম মন্দির (বা খেতুরী ধাম) হলো গৌড়ীয় বৈষ্ণব ঐতিহ্যের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও পবিত্র স্থান। শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর অপ্রকট হওয়ার পর বৈষ্ণব ধর্মের ইতিহাসে এটি একটি যুগান্তকারী ঘটনার সাক্ষী।
📜 খেতুর ধাম মন্দিরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য
১. প্রতিষ্ঠাতা ও আধ্যাত্মিক গুরুত্ব
শ্রীল নরোত্তম দাস ঠাকুর: এই ধামটি শ্রীল নরোত্তম দাস ঠাকুর (ঠাকুর মহাশয় নামেও পরিচিত) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত। তিনি ছিলেন সপ্তদশ শতকের একজন বিশিষ্ট বৈষ্ণব সাধক এবং চৈতন্য মহাপ্রভুর অন্যতম অনুসারী। তিনি প্রেমতলী এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানেই এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।
ধর্মীয় দর্শন: নরোত্তম দাস ঠাকুর তৎকালীন বৈষ্ণব সমাজে ভক্তি আন্দোলনের প্রসার ঘটান এবং গৌড়ীয় বৈষ্ণব দর্শনকে সুসংগঠিত করেন। তিনি বৈষ্ণব সাহিত্যের একজন গুরুত্বপূর্ণ কবিও ছিলেন।
২. ঐতিহাসিক খেতুরী মহোৎসব (কীর্তন মহোৎসব)
ইতিহাসের মাইলফলক: খেতুর ধাম সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত একটি ঐতিহাসিক ঘটনার জন্য—যা খেতুরী মহোৎসব বা কীর্তন মহোৎসব নামে পরিচিত।
সময়কাল: ১৫৮২ খ্রিস্টাব্দের (মতান্তরে ১৫৭৭ বা ১৫৭৯) ফাল্গুন মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে এই মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
তাৎপর্য: এটি ছিল চৈতন্য মহাপ্রভুর তিরোধানের পর তাঁর প্রধান প্রধান অনুসারী এবং ভক্তদের প্রথম সম্মিলিত মহাসম্মেলন। এই মহোৎসবে সেই সময়ের প্রখ্যাত বৈষ্ণব আচার্য যেমন শ্রীনিবাস আচার্য, দুঃখী কৃষ্ণদাস, আচার্য ঠাকুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কীর্তনের সূত্রপাত: এই মহোৎসবেই শ্রীল নরোত্তম দাস ঠাকুর কর্তৃক প্রবর্তিত বিশেষ ধরনের সংকীর্তন পদ্ধতি (যা মনোহরশাহী কীর্তন নামে পরিচিত) প্রথম পরিবেশিত হয়, যা বৈষ্ণব সমাজের ভজন ধারায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। এই অনুষ্ঠানকে অনেক বৈষ্ণব ঐতিহাসিক গৌড়ীয় বৈষ্ণব সমাজের ঐক্যের প্রতীক হিসেবে গণ্য করেন।
৩. মন্দিরের স্থাপত্য ও বর্তমান অবস্থা
মূল বিগ্রহ: খেতুর ধাম মন্দিরে নরোত্তম দাস ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত এবং পূজিত ষড়ভুজ গৌরাঙ্গ (চৈতন্য মহাপ্রভুর ছয়টি হাতের বিগ্রহ) সহ অন্যান্য বিগ্রহ (যেমন— শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ, শ্রী শ্রী রাধাবল্লভ, শ্রী শ্রী রাধাবল্লব এবং শ্রী শ্রী ব্রজমোহন) স্থাপিত আছে।
নরোত্তম দাসের সমাধি: এই ধামের পাশেই নরোত্তম দাস ঠাকুরের সমাধিস্থল রয়েছে, যা ভক্তদের জন্য আরও একটি পবিত্র স্থান।
হেরিটেজ: বছরের পর বছর ধরে মন্দিরটি বহুবার সংস্কার হয়েছে। প্রাচীন কাঠামোটি মুঘল স্থাপত্য এবং স্থানীয় রীতির মিশ্রণে তৈরি ছিল। বর্তমানে কাঠামোটিতে কিছুটা আধুনিক স্থাপত্যের ছাপ এসেছে, তবে এর ঐতিহ্য ও ধর্মীয় গুরুত্ব অক্ষুণ্ণ আছে।
৪. ধর্মীয় ঐতিহ্য ও উৎসব
প্রধান উৎসব: প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে এই ধামে বার্ষিক মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই সময়ে দেশ-বিদেশের হাজার হাজার বৈষ্ণব ও ভক্তবৃন্দ এখানে ভিড় করেন।
গুরুত্ব: এটি শুধু রাজশাহীর নয়, বরং সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশে গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মের একটি কেন্দ্রীয় তীর্থস্থান এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বহন করে।
সংক্ষেপে, গোদাগাড়ীর খেতুর ধাম মন্দিরটি কেবল একটি ধর্মীয় স্থাপনা নয়, এটি বৈষ্ণব ধর্মের ইতিহাস, দর্শন ও কীর্তন ধারার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা শত শত বছর ধরে তার ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।
#historical #history #heritage #bangladesh #hindu #hinduism #iskcontemple #vlog #rajshahi #savebanglashistudents #stepdownbdfascistgovt #হিন্দুধর্ম #সনাতন_ধর্ম #hind #hindinews #boi #বৈষ্ণব #ধর্ম
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: