ইসলামীক মোটিভেশন-১৭“সীমান্ত প্রহরার গুরুত্ব ও ফজিলত”-এম এ রাজ্জাক হাওলাদার)

Описание: যে কোনো দেশের ম্বাধীনতা ও সার্বভোমত্ব সুরক্ষা এবং বহিঃশত্রুর আগ্রাস ও অনুপ্রবেশ রোধকল্পে একটি শক্তিশালী বর্ডার ম্যানেজমেন্ট তথা সীমান্ত প্রহরার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সময়ে বর্তমান কালের মতো রাষ্ট্রীয় সীমারেখা, আন্তর্জাতিক সীমারেখা, গ্লোবাল ম্যাপ ইত্যাদি না থাকলেও হিজরতের পরে তিনিই প্রথম মদীনায় কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং মদীনাকে হারাম (ঝধভব তড়হব সেইফ জোন) বা সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করেন। তাঁর সেই ইসলামী রাষ্ট্রের সীমান্তের হিফাজতের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং এর দায়িত্ব পালনের ফযিলত সম্পর্কে সাহাবীদের অবহিত করেন।
অতএব প্রতিটি রাষ্ট্রেরই দায়িত্ব, যুদ্ধের কোনো সম্ভাবনা না থাকলেও সর্বদা সীমান্ত প্রহরায় লোকদের নিয়োজিত রাখা। অন্যথায় যে কোনো সময় শত্রু আক্রমন করতে পারে। ইসলামে সীমান্ত প্রহরার গুরুত্ব ও ফজিলত অপরিসীম। বহিঃশত্রুর আগ্রাসন মোকাবিলার জন্য মহানবী (সা.) মদিনায় সুসংগঠিত, প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ও ঈমানের বলে বলীয়ান এমন একটি বাহিনী গঠন করেছিলেন, যারা স্বদেশের মাটি ও মানুষকে রক্ষার জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে সদা প্রস্তুত থাকত।
আর মদীনা সনদেও উল্লেখ করা হয়েছে- ‘‘মদীনা নগরী আক্রান্ত হলে দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য সবাই যুদ্ধ করবে এবং প্রত্যেক সম্প্রদায় নিজ নিজ ব্যয়ভার বহন করবে।” (মদীনা সনদ-আহমদ আব্দুল হালিম, ধারা নং ৬)
দেশের সীমান্ত প্রহরায় নিয়োজিত নৌবাহিনীকে দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ করে রাসূল (সা.) বলেন, “ইসলামী রাষ্ট্রের সীমান্ত প্রহরায় এক রাত সমুদ্রতীরে যাপন করা, ঘরে অবস্থান করে এক হাজার রাকাত নফল নামাজ আদায়ের চেয়ে উত্তম।” দেশের সীমান্তরক্ষী অতন্দ্র প্রহরীদের স্বদেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে হাদীসে এসেছে,
عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ্রرِبَاطُ يَوْمٍ فِي سَبِيْلِ اللهِ خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا عَلَيْهَا (بخارى-২৬৯০)
হযরত সাহাল ইবনে সাইদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল করিম (সা.) বলেছেন, “একদিন আল্লাহর রাস্তায় সীমানা পাহারা দেয়া পৃথিবী ও পৃথিবীর উপরস্থ সব কিছু থেকে উত্তম।” (বুখারী-২৬৯০ ই.ফা,২৬৭ ই.সে)
#islamicmotivation
#motivation
#ARazzakHowladerYoutubeChannel
#bordersecurityforce
#সীমান্তপ্রহরা
#সীমান্তরক্ষী
#বিজিবি
#বাংলাদেশবর্ডার