ফাঁদ পেতে নির্বিচারে নিধন হচ্ছে অতিথি পাখি
Автор: সময় নিউজ
Загружено: 2017-02-04
Просмотров: 11933
Описание:
শীতপ্রধান অঞ্চল থেকে আসা অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর ভোলার উপকূলীয় চরাঞ্চলগুলো। সকাল-বিকাল অতিথি পাখির কিচির মিচির, উড়ে বেড়ানো আর জলকেলি দর্শণার্থীদের মন ছুঁয়ে যায়। তবে অসাধু কিছু শিকারির অপতৎপরতার কারণে নির্বিঘ্নে বিচরণ করতে পারছেনা অতিথি পাখি। চরাঞ্চলে ফাঁদ ও বিষটোপ দিয়ে নির্বিচারে পাখি নিধন চলছে। তবে পাখি শিকার বন্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বনকর্মীরা টহল দিচ্ছে বলে দাবি বন বিভাগের।
বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষা চরকুকরি মুকরি, চর শাহজালাল, চরশাজাহান, চর পিয়াল, আইলউদ্দিন চর, চরনিজাম, দমার চর, ডেগরারচরসহ মেঘনা-তেঁতুলিয়ার মধ্যবর্তী নতুন চরগুলোতে সকাল বিকাল খাবার সংগ্রহ করতে দেখা যায় অতিথি পাখিদের।
খাবাররে সন্ধানে নিজ দেশ ছেড়ে আসা এসব অতিথিরা এদেশে এখন আর নিরাপদ নয়। অসাধু শিকারিরা সিন্ডিকেট করে কারেন্ট জালের ফাঁদ আর বিষটোপ দিয়ে প্রতিদিন শত শত পাখি নিধন করছে। বিষটোপ দিয়ে মারা কিছু পাখি গোপনে বাজারে বিক্রি করলেও অধিকাংশই নদীতে ভেসে যায়। এতে অতিথি পাখির সংখ্যা যেমন কমছে তেমনি হুমকি মুখে পড়ছে নদ-নদীর পরিবেশ।
শিকারি ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ধান বা অন্য খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে সেগুলো চরে ছড়িয়ে দেয়া হয়। বিষাক্ত এসব খাবার খেয়ে পড়ে থাকে পাখিগুলো। এদের মধ্যে যেগুলো বেচে থাকে সেগুলো নিয়ে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা হয় আর মারা যাওয়া পাখিগুলো ভেসে যায় নদীর পানিতে।
বিষটোপে শুধু পাখির ক্ষতি হচ্ছেনা, পরিবেশের অন্যান্য প্রাণীদেরও মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ছে বলে জানান জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার কর্মকার।
তিনি বলেন, 'মানুষের জন্য তারা মংসটা নিয়ে নেয় আর বাকিটা ফেলে দেয়। সরাসরি এগুলো যখন প্রাণীরা খাবে তখন তাদের মৃত্যুর ঝুঁকিও থেকে যাবে।'
আর এসব পাখি খেলে মানুষের ক্যান্সারসহ জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান জেলার সিভিল সার্জন ডা. রথীন্দ্র নাথ মজুমদার।
তিনি বলেন, 'বার বার এই বিষাক্ত পাখি খেলে পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা দেখা দিতে পারে। লিভার, কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে। একসময় খাদ্যনালীর ক্যান্সারসহ অন্যান্য জটিলতা দেখা দিতে পারে।'
পাখি ধরা বন্ধ ও অতিথিদের অবাধ বিচরণ নিশ্চিত করতে এলাকা ভিত্তিক টহলবৃদ্ধিসহ নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা জানালেন বন বিভাগের এ কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন।
তিনি বলেন, 'এসব অতিথি পাখি এবং বন সংশ্লিষ্ট অপরাধ দমনের জন্য আমরা একটা টহল টিম করি। টহল টিম এবং আমাদের নিয়মিত বিট কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হয়।'
বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের পর্যবেক্ষণে, এ বছর ১৮টি চরে ৮৪ প্রজাতির প্রায় ৫০ হাজার পাখি দেখা গেছে। এর মধ্যে দেশি পাখি ২৭ প্রজাতির ও ৫৭ প্রজাতির পরিযায়ী পাখি রয়েছে।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: