পটল চাষ পদ্ধতি ||@BAgro7
Автор: B Agro
Загружено: 2025-08-13
Просмотров: 85
Описание:
পটল চাষের পদ্ধতি
পটল চাষে বেশি তাপমাত্রা ও সূর্যালোকের প্রয়োজন। বাংলাদেশের আবহাওয়া অনুসারে অক্টোবর থেকে নভেম্বর অথবা ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাস পটলের চাষাবাদের জন্য উপযুক্ত সময়।
বেড পদ্ধতিতে পটল চাষ করলে ভালো ফলনের পাশাপাশি বর্ষাকালে ক্ষেত নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা পাবে।
জমি ও মাদা তৈরী:
পটল বেশ খরা সহিষ্ণু। পানি নিষ্কাশনের সুবিধা আছে এমন উঁচু জমি এবং বেলে দো-আঁশ বা দো-আঁশ মাটি পটলের চাষাবাদের জন্য উপযোগী।
পটলের চাষাবাদের চিন্তা করলে অক্টোবর মাসের আগেই জমি তৈরি করতে হবে। পটল চাষের জমি ভালো করে চাষ ও মই দিয়ে আগাছামুক্ত করে মাটি ঝুরঝুরে ও সমান করে নিতে হবে।
বেড পদ্ধতিতে পটলের চাষাবাদে সাধারণত বেডের চওড়া ১.০-১.৫ মিটার হয়ে থাকে।
বেডের মাঝামাঝি ১-১.৫ মিটার বা ২-৩ হাত পর পর মাদায় চারা রোপণ করতে হয়।
বেড থেকে বেডের মাঝে ৭৫ সেমি. নালা রাখতে হবে।
মাদা বা পিট তৈরির ক্ষেত্রে, মাদা বা পিটের আকার- দৈর্ঘ্য- ৫০ সেমি. প্রস্থ ৫০ সেমি. গভীরতা ৪০ সেমি. নালা ৭৫ সেমি:
চারা তৈরী এবং বপন পদ্ধতি:
আমাদের দেশে অক্টোবর – নভেম্বর অথবা ফেব্রুয়ারি – মার্চ মাস পটল চারা বোনার উপযুক্ত সময়। পটল সাধারণত কাণ্ড এবং টিউবারের মাধ্যমে বংশবিস্তার করে।
তবে শাখা কলমের ক্ষেত্রে পরিপক্ব কাণ্ড ব্যবহার করতে হবে। বপনের আগে পটল চারার শিকড় গজিয়ে নিলে বেশি ভালো হয়।
তা নাহলে মাটিতে আর্দ্রতা কম থাকলে শাখা কলম শুকিয়ে মারা যেতে পারে।
এ ক্ষেত্রে পলিব্যাগে শাখা কলম গজিয়ে এ সমস্যার সমাধান করা যায়। বিশেষ প্রক্রিয়ায় পলিব্যাগে চারা তৈরি করে অবশ্যই আগস্ট মাসে তা জমিতে লাগাতে হবে।
এতে তীব্র শীত পড়ার আগেই গাছের অঙ্গজ বৃদ্ধি হয়।
পটল গাছের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য :
কাণ্ড মরে গেলেও শিকড় জীবিত থাকে। ফলে এই শিকড় থেকেই আবার গাছ জন্মে।
ফলে মোট জীবনকাল বেশি হলে আগাম ফলন পাওয়া যায় এবং যার বাজার মূল্য তুলনামূলক অনেক বেশি পাওয়া যায়।
পটল চারা বেডের মাঝামাঝি ১-১.৫ মিটার বা ২-৩ হাত পর পর বপন করতে হয়।
গাছ লাগানোর ৯০ থেকে ৯৫ দিনের মধ্যে (প্রায় তিন মাস) ফলন পাওয়া যায়। পটল চাষের ক্ষেত্রে কয়েক দফায় শাখাকলম লাগানো যায় এবং গাছ থেকে সারা বছর ফলন পাওয়া যায়।
মাচা তৈরী:
মাচায় পটল চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায় | গ্রীষ্মকালীন এই সবজি লতানো প্রকৃতির উদ্ভিদ হওয়ায় বাউনী বা মাচা দিলে ফলন বেশি হওয়ার পাশাপাশি রোগবালাইয়ের আক্রমণ অনেক কম হয়।
অন্যদিকে মাটির ওপর কিংবা খড় বিছিয়ে পটল উৎপাদন করলে সাদা ফ্যাকাসে বা হলুদ বর্ণ ধারণ করায় এর বাজার মূল্য কমে যায়।
মাটিতে খড়-কুটা বা কচুরিপানার উপর পটলের চাষাবাদ করলে মাটির সংস্পর্শে এসে পটল রোগাক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি ফুল ও ফল নষ্ট হয় এবং আগাছার আক্রমণ বেশি হয়ে থাকে।
৪টি মাদায় একটি করে মাচা দিলে ফসলের পরিচর্যা ও পটল সংগ্রহে অনেক সুবিধা হয়।
সার প্রয়োগ:
পটল দীর্ঘমেয়াদি সবজি ফসল। পটল গাছের বৃদ্ধি ও ভালো ফলন পেতে গোবর বা জৈব সার পরিমাণমত প্রয়োগ করতে হবে।
মাদাপ্রতি ১.০ কেজি গোবর সার, ২৫০ গ্রাম খৈল, ১০০ গ্রাম ইউরিয়া, ১৭০ গ্রাম টিএসপি, ১৩০ গ্রাম এমওপি, ২০ গ্রাম বোরণ সার এবং ১৫০ গ্রাম জিপসাম সার পটল চারা বপনের সময় প্রয়োগ করে হয়।
এচাড়া ফুল ধরা কমে গেলে মাদা প্রতি ৫০০ গ্রাম গোবর সার, ৭০ গ্রাম ইউরিয়া, ৯০ গ্রাম টিএসপি, ও ১০০ গ্রাম এমওপি সার প্রয়োগ করলে ফলন অনেক বেড়ে যায়।
সেচ ও পানি নি:
পানির ঘাটতি দীর্ঘায়িত হলে পটলের ফলন কমে যায়। তাই ভালো ফলন পেতে নিয়মিত সেচ দিতে হবে।
পটল গাছ জলাবদ্ধতা সহ্য না পারায়; বৃষ্টি বা সেচের অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
রোগবালাই ও দমন:
পটল গাছ ও ফলের অন্যতম শত্রু ফলের মাছি পোকা, কাটলে পোকা, উঁই পোকা, মিলিবাগ, সাদা মাছি ও লাল মাকড় ।
এসব ক্ষতিকারক পোকা-মাকড়ের আক্রমণ থেকে পটলকে রক্ষা করতে নিয়মিত পরিমাণমত কীটনাশক স্প্রে করতে হবে ।
ফসল সংগ্রহ:
পটলের কচি ফল সকাল অথবা বিকালে সংগ্রহ করতে হয়।
সাধারণত জাতভেদে ফুল ফোটার ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে পটল সংগ্রহ করা যায়।
#follower #foryou #গ্রামবাংলা #subscribe #cultivate #youtube
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: