পাহাড়ে নববর্ষ ও চৈত্রসংক্রান্তির সাতরঙা উৎসব-মো. রেজুয়ান খান
Автор: newturn24
Загружено: 2025-04-11
Просмотров: 117
Описание:
পাহাড়ে নববর্ষ ও চৈত্রসংক্রান্তির সাতরঙা উৎসব
-মো. রেজুয়ান খান
শ্রুতি রয়েছে যে, বৈসাবির শিকড় মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৌদ্ধ সংস্কৃতির সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। থাইল্যান্ড, মায়ানমার, লাওস ও কম্বোডিয়া এইসব দেশে একই সময়ে নববর্ষ উদযাপিত হয়- যা ‘সংক্রান’ নামে পরিচিত। ধারণা করা হয়, শত শত বছর আগে আরাকান ও বার্মা (বর্তমান মায়ানমার) থেকে মারমা জনগোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামে আসার সময় তাদের সাংগ্রাই উৎসব সঙ্গে নিয়ে আসে। একইভাবে চাকমা ও ত্রিপুরাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও উৎসবও ধীরে ধীরে একসঙ্গে মিলিত হয়ে ‘বৈসাবি’ নামকরণ হয়েছে। চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা বৃহত্তর মঙ্গোলয়েড জনগোষ্ঠীর অন্তর্গত। বৈশাখ মাসে তিব্বত থেকে শুরু করে বাংলাদেশ পর্যন্ত নতুন বছর শুরু হয়। পার্বত্য এলাকার জনগোষ্ঠীর সকলেই নিজেদের নববর্ষ পালন করে থাকে এই সময়টিতে। বৈসাবি নামটি তিনটি জনগোষ্ঠীর উৎসবের আদ্যক্ষর নিয়ে তৈরি হয়েছে। চাকমাদের ‘বিঝু’, মারমাদের ‘সাংগ্রাই’ ও ত্রিপুরাদের ‘বৈসু’- এই তিন উৎসব মিলেই ‘বৈসাবি’। তবে শুধু বৈসাবি পাহাড়ের সকল সম্প্রদায়ের নববর্ষ ও চৈত্র সংক্রান্তির অনুষ্ঠানের বহুমাত্রিকতাকে প্রকাশ করে না। এখানে স্পষ্ট করে বলা প্রয়োজন - ‘বিহু, বিঝু, বিষু, বৈসু, চাংক্রান, সাংক্রান, সাংগ্রাইন, সাংগ্রাইং নামগুলো। ‘বৈসাবি’ উৎসব নামকরণের পাশাপাশি চৈত্র সংক্রান্তি উৎসব উদযাপনে অন্যান্য উৎসবগুলোর নাম থাকলে বৈষম্য অনেকটা ঘুচে যেতো বলে মনে করা হয়। যদিও প্রতিটি জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে উদযাপনের ধরন কিছুটা আলাদা, তবু উৎসবের মূল চেতনায় থাকে আনন্দ, ভালোবাসা ও নতুন বছরের শুভ সূচনা। চাকমারা তিন দিনব্যাপী বিঝু পালন করে। পার্বত্য জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ ঘটে এই উৎসবের মাধ্যমে।
নতুন বছরকে বরণ ও পুরোনো বছরকে বিদায় করতে চৈত্র সংক্রান্তির এই দিনে প্রতিবছরের ন্যায় পাহাড়ে চলছে জাঁকজমকপূর্ণ আনন্দের রব। নানা আয়োজনে জমে উঠেছে উৎসবমুখর আনন্দের এই পরিবেশ। বিঝু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, চাংক্রান, বিহু, বাহারি ফুল আর পাতার সমাহারে বিভিন্ন নামে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মিলনমেলায় পরিণত হবে পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ি জনপদ এবং রাজধানীতে বসবাসরত পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি-বাঙালি অধিবাসী। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও রাজধানীতে বসবাসরত পাহাড়ি তরুণ-তরুণী, বৃদ্ধ, জায়া-জননীরা মিলেমিশে প্রাণের এই উৎসবে অংশ নিতে যাচ্ছে। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র বেইলি রোডের পার্বত্য কমপ্লেক্স হতে রমনা পার্কের লেকে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে পাহাড়ি-বাঙালিরা এবারও মেতে ওঠবে। প্রত্যাশা করা হচ্ছে যে, বাংলাদেশের দিন বদলের সাক্ষী বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সহযোদ্ধারাও এবার মাতিয়ে তুলবে এ উৎসবকে। বৈসাবির মন-মাতানো এমন রং প্রতিবছরের চৈত্র সংক্রান্তিতে সব বয়সের পাহাড়ি মানুষের মনে দামামা হয়ে বেজে ওঠে। ১২ এপ্রিল থেকে শুরু হবে পাহাড়িদের প্রধান এই সামাজিক উৎসব। এই উৎসব ঘিরে সব সম্প্রদায়ের কৃষ্টি, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটতে যাচ্ছে। এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের আনাচে-কানাচে বৈসাবি উৎসবের রং লেগেছে। বর্ণিল সাজে সাজানো হচ্ছে পাহাড়। বসেছে আনন্দ উল্লাস আর নাচ-গানের আসর। পুরাতন বছরের বিদায় ও নতুন বছরের আগমনের উৎসব বৈসাবিকে ঘিরে নতুন সাজে সেজেছে পাহাড়ি জনপদ বান্দরবান। তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ঘিলা খেলার মধ্য দিয়ে জেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে বৈসাবি উৎসব। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ১২ এপ্রিল রাজধানীতে বৈসাবি শোভাযাত্রা উদ্বোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। (১ম অংশ)
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: