সমতল চা বাগান ও চাওয়াই নদী জগদল,পঞ্চগড়।Flat Tea Garden,Panchagarh
Автор: Kabir bokul bd
Загружено: 2022-07-08
Просмотров: 62
Описание:
সমতল চা বাগান ও চাওয়াই নদী জগদল,পঞ্চগড় #kabirbokulbd
উত্তরবঙ্গে চা শিল্পের বিকাশঃ দেশের উত্তর জনপদের পঞ্চগড়ে চা চাষ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও সিলেটের পর পঞ্চগড় অন্যতম চা অঞ্চল হিসেবে এরই মধ্যে দেশে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। পঞ্চগড় ইতোমধ্যে দেশের তৃতীয় চা অঞ্চল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। একসময়ের পতিত গো-চারণ ভূমি ও দেশের সবচেয়ে অনুন্নত জেলা এখন চায়ের সবুজ পাতায় ভরে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে চোখ জুড়ানো নৈসর্গিক সৌন্দর্য। দেশের বাজারসহ আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করেছে পঞ্চগড়ের চা। হিমালয় কন্যা খ্যাত সবুজ শ্যামলে ঘেরা দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে চা চাষ শুরুর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে। ১৯৯৬ সালে তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চগড় সফরে এসে চা চাষের সম্ভাবনার কথা বলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তার ফসল আজকের পঞ্চগড়ের চা বাগান। অতঃপর ওই সময়ের জেলা প্রশাসক জনাব মো. রবিউল ইসলামের তত্ত্বাবধানে পরীক্ষামূলকভাবে চা চাষ করা হয়। প্রথমে টবে, পরে জমিতে চায়ের চাষ করা হয়। সে সফলতা থেকে পঞ্চগড়ে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চা উৎপাদন করা হয়। ১৯৯৯ সালে উত্তরবঙ্গে চা চাষের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। ১৯৯৯ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট ও বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের একটি বিশেষজ্ঞ দল পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলায় জরিপ চালিয়ে চা চাষের সম্ভাবনা সম্পর্কে নিশ্চিত হন। জরিপ কমিটি পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলায় প্রায় ৪০,০০০ একর জমিতে চা চাষের সম্ভাবনা নির্ধারণ করেন। পরবর্তীতে ২০০০ সালে সর্বপ্রথম তেতুলিয়া টি কোম্পানী লিমিটেড (টিটিসিএল) এবং কাজী এন্ড কাজী চা বাগান বাণিজ্যিকভাবে চা চাষ শুরু করে। বাংলাদেশ চা বোর্ড কর্মকর্তাদের পরামর্শক্রমে পঞ্চগড় জেলায় সর্বপ্রথম ক্ষুদ্র পর্যায়ে চা চাষ শুরু করেন জনাব মোঃ ইসহাক আলী মণ্ডল, জনাব মোঃ আব্দুর রহমান, জনাব মোঃ আব্দুল হক, জনাব মোঃ মতিয়ার রহমান, জনাব মোঃ সিরাজুল ইসলাম, জনাব আমেনা খাতুন এবং জনাব মোঃ আবুল হোসেনসহ ছয় থেকে সাতজন ক্ষুদ্র চাষি চা চাষ শুরু করেন। সেই থেকে হাটি হাটি পা পা করে পঞ্চগড়ের চা আজ ব্যাপক পরিচিত লাভ করেছে। ২০০১ সালে উত্তরবঙ্গের চা শিল্পের উন্নয়নে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ চা বোর্ডের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই) এর একটি উপকেন্দ্র পঞ্চগড়ে স্থাপিত হয়। পরবর্তীতে যা বাংলাদেশ চা বোর্ড আঞ্চলিক কার্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। বর্তমানে পঞ্চগড়স্থ বাংলাদেশ চা বোর্ড এর আঞ্চলিক কার্যালয়ে ১ একর জমিতে চায়ের পরীক্ষণ প্লট, ১ একর মাতৃগাছ ও ৫ লক্ষ চা চারা উৎপাদনক্ষম একটি ভিপি নার্সারী রয়েছে। এছাড়াও এ কার্যালয়ে ১টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ১টি পেস্ট ম্যানেজমেন্ট গবেষণাগার ও ১টি আইপিএম ফিল্ড ল্যাবরেটরী রয়েছে। উত্তরবঙ্গের চায়ের উৎপাদন ও গুণগতমান বাড়াতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ চা বোর্ড ও এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট ও প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাছাড়াও প্রতি বছরই বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনষ্টিটিউট (বিটিআরআই) এর অভিজ্ঞ বিজ্ঞানীরা পঞ্চগড়ের চা চাষিদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও বৈজ্ঞানিক পন্থায় চা চাষের কলাকৌশল হাতে কলমে শেখানোর জন্য বিভিন্ন প্রকারের প্রশিক্ষনের আয়োজন করে থাকেন। এতে করে চা চাষিরা যেমন উপকৃত হচ্ছেন তেমনি পঞ্চগড়ের চা চাষ আরও বেগমান হচ্ছে। ফলে এর উপকারিতা পঞ্চগড়ে চা চাষে জড়িত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ২৫,০০০-৩০,০০০ লোক সহ হত দরিদ্র নারী ও পুরুষ সকলেই পাচ্ছে। সে কারনে পঞ্চগড়স্থ বাংলাদেশ চা বোর্ডের এই আঞ্চলিক কার্যালয়টি পঞ্চগড়ের লোকজনদের নিকট চায়ের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। পঞ্চগড়ে চা চাষের যে বিপ্লব ঘটেছে তা মূলত বাংলাদেশ চা বোর্ড তথা বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনষ্টিটিউট (বিটিআরআই) এ নিয়োজিত বিজ্ঞানীবৃন্দ ও প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের কর্মকর্তাদের নিরলশ কর্ম প্রচেষ্টায়। যার ফলে বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের এই অবহেলিত অঞ্চল মঙ্গা নামক অভিশাপ্ত শব্দটিকে জয় করতে পেরেছে। এতে করে এই উত্তরের জনপদটি যেমন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কর্মকাণ্ডে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে তেমনি এই অঞ্চলটি অর্থনৈতিক ভাবে অন্যতম চালিকা শক্তিতেও রূপান্তরিত হয়েছে।
ফেসবুক পেজ লিনক:
https://www.facebook.com/kabirbokulbd/
ইনস্টাগ্রাম লিংক:
https://www.instagram.com/kabir.bokul_bd/
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: