গরুরমাংস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা।
Автор: U Health TV
Загружено: 2024-06-10
Просмотров: 30
Описание:
গরুর মাংস ভিটামিন বি-৩, বি-৬, বি-১২ ইত্যাদি ভিটামিনের জোগান দেয়। গরুর মাংস প্রোটিনের ভালো উৎস। মাংস ছাড়াও হাড়, কলিজা, মগজ ইত্যাদি থেকে মেলে প্রোটিন। এই প্রোটিন থেকে পাওয়া অ্যামাইনো এসিড কাজে লাগে হাড় ও মাংসপেশি ভালো রাখতে। উচ্চমান সম্পন্ন প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজের ভরপুর উৎস হলো গরুর মাংস। স্বাস্থ্যের প্রশ্নে একে প্রায়ই কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হলেও নানা সময়ে দেখা গেছে এর অপকারের চেয়ে উপকার ঢের বেশি।
সবার আগে আসবে আমিষের কথা। মাংসপেশী গঠনে প্রাণীজ আমিষ লাগবেই। কারণ এতে দরকারি সব অ্যামাইনো অ্যাসিড আছে। এ কারণে গরুর মাংসকে বলা হয় ‘কমপ্লিট প্রোটিন’। আর পরিমিত মাত্রায় প্রোটিন গ্রহণ না করলে কিন্তু বয়সের সঙ্গে শরীরের পেশী ক্ষয় হতে থাকবে দ্রুত। যাকে বলে ‘স্যারকোপেনিয়া’। মাঝে মাঝে এই রোগটি কিন্তু মারাত্মক আকারে দেখা দিতে পারে।
ব্যায়ামের জ্বালানি
যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করছেন তাদের পেশীতে চাই বাড়তি শক্তির যোগান। আর পেশীতে এ শক্তির যোগান দেবে কারনোসাইন নামের একটি উপাদান। যা তৈরি হয় বেটা-অ্যালানাইন থেকে। গরুর মাংসে এই বেটা-অ্যালানাইন আছে যথেষ্ট পরিমাণে। যারা গরুর মাংস একেবারেই খাচ্ছেন না তাদের পেশীতে কারনোসাইনের পরিমাণ দ্রুত কমতে থাকে। আবার এর পরিমাণটা ঠিকঠাক থাকলে অল্প পরিশ্রমেই প্রচণ্ড ক্লান্তি এসে ভর করবে না।
শিশুর বৃদ্ধিতে সহায়ক
গরুর মাংস খেলে তা আমাদের বুদ্ধি-বৃত্তিক গঠন, শারীরিক বর্ধন ও রক্ত বর্ধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ৮৫ গ্রাম গরুর মাংসে ৯-১৩ বছর বয়সী শিশুর দৈনিক চাহিদার ১২৫ শতাংশ ভিটামিন বি১২, ৯০ শতাংশ প্রোটিন, ৩২ শতাংশ আয়রন, ২৯ শতাংশ নায়াসিন, ৭৪ শতাংশ জিঙ্ক, ৪২ শতাংশ সেলেনিয়াম, ৩২ শতাংশ ভিটামিন বি৬, ২৩ শতাংশ রিবোফ্লেভিন এবং ১৬ শতাংশ ফসফরাস থাকে।
খনিজের অভাব দূর করে
শরীরে খনিজের অভাবে অসুখ-বিসুখ দূর করতে কাজ করে গরুর মাংস। কারণ এটি খনিজ লবণের দুর্দান্ত উৎস। গরুর মাংসে থাকে জিংক, ফসফরাস, সেলেনিয়াম এবং প্রচুর লৌহ। এই মাংস ভিটামিনের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। গরুর মাংস ভিটামিন বি-৩, বি-৬, বি-১২ ইত্যাদি ভিটামিনের জোগান দেয়।
প্রোটিনের ভালো উৎস
গরুর মাংস প্রোটিনের ভালো উৎস। মাংস ছাড়াও হাড়, কলিজা, মগজ ইত্যাদি থেকে মেলে প্রোটিন। এই প্রোটিন থেকে পাওয়া অ্যামাইনো এসিড কাজে লাগে হাড় ও মাংসপেশি ভালো রাখতে। প্রতি ১০০ গ্রাম গরুর মাংসে পাওয়া যায় ২২.৬ গ্রাম প্রোটিন।
জিংকের ঘাটতি দূর করে
আমাদের সুস্থতার জন্য জিংক একটি জরুরি উপাদান। এটি আমাদের শরীরের কোষ ভালো রাখে এবং বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। ৮৫ গ্রাম গরুর মাংস খেলে তা দৈনিক জিংকের ৩৯ শতাংশ পূরণ করে।
গরুর মাংসের অপকারিতা
কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি বাড়ায়
অনেকে অতিরিক্ত গরুর মাংস খেয়ে ফেলেন। এতে বাড়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে পরবর্তীতে আরও বড় অসুখ দেখা দিতে পারে। তাই অতিরিক্ত গরুর মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। গরুর মাংসের সঙ্গে নানা ধরনের সবজি মিলিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যাবে।
কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি
অতিরিক্ত গরুর মাংস খাওয়া মোটেও উপকারী নয়। তাই খেতে যতই ভালো লাগুক, গরুর মাংস খেতে হবে পরিমিত। চিকিৎসকদের মতে, সপ্তাহে পাঁচ বেলা গরু, খাসি কিংবা ভেড়ার মাংস খেলে বাড়ে কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। সেইসঙ্গে প্রক্রিয়াজাত লাল মাংস খেলে তা মৃত্যু ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়।
হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি
আপনি হয়তো জেনে থাকবেন, গরুর মাংস খেলে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। কারণ এতে থাকা অতিরিক্ত সোডিয়াম শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কারণ রক্তচাপ সৃষ্টিতে বা বাড়াতে কাজ করে সোডিয়াম। তাই গরুর মাংস খেলে হতে পারে উচ্চ রক্তচাপ। সেখান থেকে দেখা দেয় হৃদরোগ ও স্ট্রোকের মতো সমস্যা।
কতটুকু গরুর মাংস খেতে পারবেন?
দৈনিক গরুর মাংস খেতে পারবেন ৮৫ গ্রাম। ৮৫ গ্রাম চর্বি ছাড়া গরুর মাংস খেলে তা আপনার দৈনিক ক্যালোরির চাহিদার ১০ শতাংশ পূরণ করবে। রান্না করা ৩ টুকরা মাংসে ৮৫ গ্রাম হয়, তাই চেষ্টা করুন দিনে ৩ টুকরার বেশি মাংস না খেতে। যদি একবারে আরও বেশি মাংস খেয়ে ফেলার ভয় থাকে তবে সপ্তাহে দুইদিনের বেশি গরুর মাংস না খাওয়াই ভালো।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: