৫০০ বছরের প্রাচীন স্থাপত্যের অন্যতম শাহী মসজিদ | Bagha Mosque | Rajshahi | রাজশাহীর ঐতিহাসিক মসজিদ
Автор: Travel Anna
Загружено: 2025-01-17
Просмотров: 737
Описание:
#BaghaMosque #rajshahi #anna
রাজশাহীর বাঘা উপজেলা সদরে অবস্থিত বাঘা শাহী মসজিদ মুসলিম স্থাপত্যশৈলীর এক অনুপম নিদর্শন। বাঘা মসজিদের অবস্থান রাজশাহী জেলা সদর থেকে মোটামোটি ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে। দেশের ৫০ টাকার নোটে এবং ১০ টাকার একটি স্মারক ডাক টিকেটে ৫শ’ বছরের প্রাচীন এই মসজিদের ছবি রয়েছে। ইতিহাসের এক অনন্য নিদর্শন হওয়ায় প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য দর্শনার্থী বাঘা মসজিদ দেখার জন্য আসে। ইতিহাস খুঁজতে আসেন ইতিহাসবিদেরাও। প্রাচীন অন্যতম এই নিদর্শন দেখে মুগ্ধ হন সবাই।
একদা রাজশাহী অঞ্চলের এই এলাকা ছিল গভীর বনজঙ্গলে ঘেরা। এলাকায় তখনো জনবসতি তেমন একটা গড়ে ওঠেনি। এমন একটা সময়ে বাগদাদের আব্বাসীয় খলিফা হারুনুর রশীদের বংশধর হজরত মাওলানা শাহ আব্বাসের পুত্র হজরত মাওলানা শাহ মুয়াজ্জিমুদ্দৌলা ধর্মপ্রচারে এসে এই এলাকায় আস্তানা স্থাপন করেন। মাওলানা শাহ মুয়াজ্জিমুদ্দৌলা এই জনপদে পরিচিত হয়ে ওঠেন হজরত শাহ দৌলা (রহ.) নামে। ইসলামের প্রচারই ছিল তাঁর কার্যক্রমের প্রধান লক্ষ্য।
হজরত শাহ দৌলা (রহ.) সে সময় একটি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। পরবর্তীকালে ১৫২৩ থেকে ১৫২৪ সালে হুশেন শাহী বংশের প্রতিষ্ঠাতা আলাউদ্দিন হোসেন শাহের পুত্র সুলতান নসরত শাহ এ মসজিদটি নির্মাণ করেন। বিশাল একটি দিঘি কেটে পাশেই এর মাটি দিয়ে জায়গাটি উঁচু করে সেখানেই নির্মাণ করা হয় মসজিদটি। সমতল ভূমি থেকে মসজিদটি ৮-১০ ফুট উঁচু আঙ্গিনার ওপর অবস্থিত।
বাংলাদেশে প্রাচীন যে কটি স্থাপনায় টেরাকোটার কারুকাজ দেখা যায়, এগুলোর মধ্যে বাঘা মসজিদ একটি। মসজিদের আঙিনা ঘিরে সীমানাপ্রাচীর। উত্তর ও দক্ষিণ দিকে দুটি করে প্রবেশপথ। দুই পাশে রয়েছে বিশাল দুটি ফটক। পুরো মসজিদ টেরাকোটায় খচিত। মসজিদের ১০টি গম্বুজের কয়েকটি দৃশ্যমান। প্রধান ফটক থেকে এসবের নির্মাণশৈলী দর্শনার্থীদের টেনে নিয়ে যায় মসজিদের ভেতরে। ১০ গম্বুজের এই মসজিদের রয়েছে পাঁচটি দরজা। মাঝখানের দরজার ওপরে রয়েছে ফারসি হরফে লেখা একটি শিলালিপি। চার কোনায় চারটি চৌচালা গম্বুজ। ভেতরে ছয়টি স্তম্ভ, চারটি অপূর্ব কারুকাজখচিত মেহরাব রয়েছে মসজিদটির। মসজিদের দেয়ালে দেয়ালে কারুকাজে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে আম, গোলাপ ফুলসহ নানা কিছু। মসজিদের দৈর্ঘ ৭৫ ফুট, প্রস্থ ৪২ ফুট, উচ্চতা ২৪ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং এর দেয়াল ৮ ফুট পুরু। গম্বুজের ব্যাস ২৪ ফুট। উচ্চতা ১২ ফুট। সবখানেই টেরাকোটার নকশা আছে। তবে কালের প্রবাহে কিছু কিছু জায়গা নোনা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। ২০০৭ সালে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ অনুরূপ নকশা প্রতিস্থাপন করে কারুশিল্পী মদন পালকে দিয়ে। ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে বাঘা শাহী মসজিদের ক্ষতি হয়। ভেঙে পড়ে ওপরের ১০টি গম্বুজ। এরপর থেকে দীর্ঘদিন মসজিদের ভেতরটা পরিত্যক্ত ছিল। পরে গম্বুজগুলো পুনর্নিমাণ করা হয় ১৯৭৬ সালে।
শাহী মসজিদের সামনেই ৫২ বিঘা জমির ওপর বিশাল দিঘি এবং সেই দিঘির ধারে থাকা সারি সারি নারিকেল গাছ এলাকাটির সৌন্দর্য অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। মসজিদ ঘিরে রয়েছে ওলী আউলিয়াদের মাজার, দরগা ও জাদুঘর। মসজিদের উত্তর পাশে রয়েছে হজরত শাহ দৌলা (রহ.) এবং তাঁর পাঁচজন সঙ্গীর মাজার। মাজারের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে রয়েছে হজরত শাহ (রহ.)-এর পরিবারের সদস্যদের মাজার। মসজিদ প্রাঙ্গণের বাইরে দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে রয়েছে দুজন বাগদাদি দরবেশের মাজার। এ ছাড়া এখানে আসা জহর খাকী পীরসহ আরও অনেক সাধকের মাজার রয়েছে চারপাশে। এছাড়াও মসজিদ সংলগ্ন মাটির নিচে আবিষ্কৃত হয়েছে মহল পুকুর। ১৯৯৭ সালে মাজারের পশ্চিম পাশে খনন কাজের ফলে সন্ধান মেলে পুকুরটির। ৩০ ফুট বাই ২০ ফুট আয়তনের বাঁধানো মহল পুকুরটি একটি সুড়ঙ্গপথ দিয়ে অন্দরমহলের সঙ্গে যুক্ত ছিল। মসজিদের ভেতরে ও বাইরে রয়েছে প্রচুর পোড়ামাটির ফলক। মসজিদের ভেতরে উত্তর ও পশ্চিম কোণে একটু উঁচুতে নির্মিত একটি বিশেষ নামাজের কক্ষ আছে। এই মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় প্রতিবছর ঈদুল ফিতরের দিন থেকে ৩ দিন পর্যন্ত বাঘার মেলা আয়োজন করা হয়। এই মেলাটিও প্রায় ৫০০ বছরের ঐতিহ্যের একটি অন্যতম নিদর্শন।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: