ইফতার কি আযান হলে করতে হয় নাকী সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে?
Автор: Islamic City
Загружено: 2025-03-14
Просмотров: 1
Описание:
ইফতার কি আযান হলে করতে হয় নাকী সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে?
সূর্য ডুবলো নাকি ডুবলো না, তার জন্য আমরা অপেক্ষা করি না। আমরা অপেক্ষা করি আযানের জন্য। কারণ আমাদের ধারণা, আযান হলে ইফতার খেতে হয়। অথচ আযানের সাথে ইফতারের কোন সম্পর্কই নেই।
.
.রাসুল সাঃ সুর্যাস্তের সাথে সাথে ইফতার করতে বলেছেন
-
আর দ্রুত ইফতার করলে দ্বীন বিজয়ী থাকবে। অন্যদিকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কতৃক প্রচলিত রুটিন অনুযায়ী ইফতার করলে সেটা ইহুদি-নাসারাদের অনুসরণ হবে, কারন রাসুল সাঃ বলেছেন ইহুদি-নাসারা'রা দেরিতে ইফতার করে। এখানে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সুর্যাস্তের ৩ মিনিট পর ইফতার ও সাহরি করার রুটিন নির্ধারন করে যা আধুনিক যুগে শরিয়ত বিরোধী। তাই টিভি বা পত্রিকা দেখে সুর্যাস্তের সময় জানুন আর সে অনুযায়ী ইফতার করে কল্যাণ হাসিল করুন। অথবা নিম্নবর্ণিত এই রুটিন অনুসরণ করুন।
দ্রুত ইফতার বিষয় সহীহ্ হাদীস সমূহঃ
🔹 রসূল (সঃ) বলেন,
"যখন এ(পূর্ব) দিক হতে রাত আসবে এবং এ(পশ্চিম) দিক হতে দিন প্রস্থান করবে এবং সূর্য অস্তমিত হবে তখনই সায়িম ইফতার করবে।
(বুখারী, মুসলিম, মিশকাত, মাদ্রাসা পাঠ্যবই/১৮৮৮)।
🔹 রসূল (সঃ) আরো বলেন,
"মানুষ ততদিন কল্যাণের সাথে থাকবে যতদিন তারা ইফতার শীঘ্র শীঘ্র করবে।"
(বুখারী, মুসলিম, মিশকাত,
মাদ্রাসা পাঠ্যবই/১৮৮৭)।
🔹 রসূল (সঃ) আরো বলেন,
"দ্বীন সর্বদা জয়যুক্ত থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষ শীঘ্র শীঘ্র ইফতার করবে। কেননা, ইহুদি ও নাসারাগণ দেরিতে ইফতার করে।"
(আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ,
মিশকাত, মাদ্রাসা পাঠ্যবই/১৮৯৮)।
🔹 রাসুল (ছঃ)বলেন,
লোকেরা ততক্ষণ মঙ্গলের মধ্য থাকবে, যতক্ষণ তারা সূর্যাস্তের পর ইফতার করতে তাড়াতাড়ি করবে ।
(সহী হুল বুখারী /১৯৫৭ মুসলিম: ১০৯৮ )
🔹 ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর
ছাহাবীগণ লোকদের
মধ্যে ইফতার সর্বাধিক
জলদী ও সাহারী সর্বাধিক
দেরীতে করতেন’।
(নায়লুল আওত্বার
(কায়রো : ১৯৭৮) ৫/২৯৩ পৃঃ।
🔹 আবূ আত্বিয়াহ বলেন, আমি ও মাসরূক আয়েশা (রাঃ)এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললাম,
'হে উম্মুল মুমেনীন! মুহাম্মদ (ছঃ)এর সাহাবীগনের মধ্যে একজন সময় হওয়া মাত্রই তাড়াতাড়ি ইফতার করে ও তাড়াতাড়ি সলাত পড়ে এবং অপর জন দেরী করে ইফতার করে ও দেরী করে সলাত পড়ে । তিনি বললেন, 'ওদের মধ্যে কে তাড়াতাড়ি ইফতার করে ও তাড়াতাড়ি সলাত পড়ে? আমরা বললাম, 'আব্দুল্লাহ (ইবনে মাসঊদ)।' তিনি বলেন, রাসুল (ছঃ) এই রকমই করতেন ।
(সহীহুল মুসলিম :১০৯৯ )
🔹 রাসুল (ছঃ)বলেন,
" তিনটি কাজ নবুয়াতের আদর্শের অন্তর্ভূত, দ্রুত ইফতার করা, দেরী করে সেহরী খাওয়া, এবং সলাতে ডান হাত বাম হাতের উপর রাখা ।"
(সহীহুল জামেআস সাগীর, আলবানী :৩০৩৮, )
🔴রাসুল (ﷺ) বলেছেন, সূর্য যখনই অস্ত যাবে, সায়েম (সিয়াম পালনকারী) তখনই ইফতার করবে।" [বুখারী ২৯৫৪, মিশকাত ১৯৮৫]
.
____________________________
অথচ, দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমরা সূর্যাস্তের ৩/৪ মিনিট পরে সতর্কতামূলক ইফতার করে থাকি, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর আদেশের স্পষ্ট বিপরীত।
🔴আদম (আ) এর সময় থেকে শুরু করে সব যুগের সব নবী-রাসুলরাই ইফতার করেছেন বিনা আযানে। আসলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ছাড়া কোনো নবী-রাসূলের যুগে তো আযানই ছিলনা।
আযানের সূচনা হয়েছে সিয়াম (রোজা) শুরুর অজস্র বছর পরে।
.
বাস্তবতা হচ্ছে , রাসূলুল্লাহ (ﷺ ) রাসূল হওয়ারও প্রায় ১০/১২ বছর পরে সালাতের আদেশ পেয়েছেন। এরও কিছুদিন পরে তিনি মদিনায় হিজরত করেছেন। তারও কিছুদিন পরে শুরু হয়েছে আযান। উদ্দেশ্য ছিল একটাই - সবাইকে একসাথে সালাতে আহবান করা, ইফতার খাওয়া নয়।
.
____________________________🔷আযানের সূচনা প্রসঙ্গে আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) বলেনঃ "মুসলমানরা মদিনায় আসার পর একত্রিত হয়ে নির্দিষ্ট সময়ে সালাত পড়ে নিত। এ জন্য কেউ আযান দিত না।"
.
🔶একদিন তারা ব্যাপারটি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করল। তাদের একজন বলল, নাসারাদের নাকূসের অনুরূপ একটা নাকূস (শঙ্খ) ব্যবহার কর। তাদের অপরজন বলল, ইহুদীদের শিঙ্গার অনুরূপ একটি শিঙ্গা ব্যবহার কর। উমার (রাঃ) বললেন, তোমরা সালাতের জন্য আহবান করতে একটি লোক পাঠাওনা কেন?
রাসূল (ﷺ) বললেন,
"হে বিলাল! উঠো এবং সালাতের জন্য ডাক দাও (আযান দাও)।" [গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম, অধ্যায়ঃ ৪/ কিতাবুস স্বলাত হাদিস নম্বরঃ ৭২৩, ইফা]
.
____________________________
বাড়ির পাশের ২/৩ টা মসজিদে খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন যে, রমজান মাসে মুয়াজ্জিনরা আগে ইফতার মুখে নেন, তারপরে আযান দেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে মুয়াজ্জিনরা কার আযান শুনে মুখে ইফতার নেন ?
আসলে আযান শুনে না, তাঁরা মুখে ইফতার নেন সূর্য ডোবার সাথে-সাথে। মুয়াজ্জিনরা যদি আযান শেষ করে ইফতার করতে যান, তাহলে অনেক দেরি হয়ে যাবে। প্রায় ২, ৩ বা ৪ মিনিটের ব্যবধান হয়ে যাবে।
🔷অতএব ইফতারের জন্য দেখার বিষয় হল সূর্যাস্ত; আযান নয়। সুতরাং রোযাদার যদি দেখে যে, সূর্য ডুবে গেছে কিন্তু মুয়াজ্জিন এখনো আযান দেয়নি, তাহলেও তার জন্য ইফতার করা বৈধ। [আশ্শারহুল মুমতে’ ৬/৪৩৯]
.
আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে সূর্য ডোবার সাথে-সাথে ইফতার করে কল্যাণের মাঝে থাকার তৌফিক দান করেন আমীন।।
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: