জানুন রোজার গুরুত্বপূর্ণ মাসায়েল: মাকরূহ, মুস্তাহাব, জায়েয ও ওয়াজিব!
Автор: Al Islam for Bengali Speakers
Загружено: 2025-10-12
Просмотров: 0
Описание:
প্রারম্ভিকতা
আমরা আলোচ্য ভিডিওটিতে জানুন রোজার গুরুত্বপূর্ণ মাসায়েল: মাকরূহ, মুস্তাহাব, জায়েয ও ওয়াজিব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। রমজান মাস মুসলিম উম্মাহ-এর জন্য আত্মশুদ্ধি ও তাকওয়া অর্জনের এক বিশেষ সময়। এই মাসে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও যৌন মিলন থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করি। রোযার বিধানাবলী সঠিকভাবে জানা ও পালন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই রোযার বিভিন্ন মাসআলা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকায় দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগেন। এখানে আমরা রোযাদারদের জন্য মাকরুহ, মুস্তাহাব, জায়েয ও ওয়াজিব বিষয়সমূহ আলোচনা করেছি। যা আপনার রোযা পালনে সহায়ক হবে।
রোযাদারদের জন্য মাকরূহ বিষয়সমূহ: যা থেকে বিরত থাকা উচিত
রোযা অবস্থায় কিছু কাজ মাকরূহ বা অপছন্দনীয় বিষয় আছে। যা থেকে বিরত থাকতে হবে। রোযার মাকরূহ বিষয়গুলো নিম্নরূপ:---
১) কোন কিছুর স্বাদ গ্রহণ করা বা চেখে দেখা। ইহা পেটের অভ্যন্তরে চলে যেতে পারে।
২) কুলি করার সময় অতিরিক্ত গড়গড়া করা। এতে পানি পেটে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩) নাক পরিষ্কার করার সময় বেশী পানি টানা। একই কারণে এটি মাকরুহ।
৪) শরীরে তেল বা লোশন ব্যবহার করা। যদিও এটি সরাসরি রোযা ভাঙ্গে না, তবে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
৫) দাঁত পরিষ্কার করার জন্য পেস্ট ব্যবহার করা। টুথপেস্টের ঝাঁঝালো স্বাদ বা পেস্টের কণা পেটে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এক্ষেত্রে মিসওয়াক ব্যবহার করা উত্তম।
৬) অপ্রয়োজনে কোন কিছু চিবানো বা কামড়ানো। যেমন চুইংগাম।
৭) গীবত ও চোগলখোরী করা। এতে অন্তর অপবিত্র হয়ে উঠে।
৮) অশোভন বাক্য ব্যবহার করা বা ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হওয়া। এতে রোযার মাহাত্ম্য বিনষ্ট হয়।
রোযাদারদের জন্য মুস্তাহাব বিষয়সমূহ: সওয়াব বৃদ্ধির উপায়
রোযাদারদের জন্য কিছু মুস্তাহাব আমল রয়েছে। যা রোযার বরকত ও সওয়াব বৃদ্ধি করে। যেমন:---
১) সাহরী খাওয়া। এতে বরকত আছে। কেননা, ইহা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
২) সাহরীতে বিলম্ব করে খাওয়া। তা সুবহে সাদিকের কাছাকাছি সময়ে খাওয়া মুস্তাহাব।
৩) সূর্যাস্তের পরপরই ইফতার করা মুস্তাহাব। এতে কোন বিলম্ব করা উচিত নয়।
৪) ইফতারে তাজা খেজুর বা পানি ব্যবহার করা। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খেজুর বা পানি দ্বারা ইফতার করতেন।
৫) ইফতারের পূর্বে দু’আ করা। ইফতারের সময় দু’আ কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে।
৬) দাঁত পরিষ্কারের জন্য মিসওয়াক ব্যবহার করা। এটি মুখের দুর্গন্ধ দূর করে ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর সুন্নাত।
৭) কুরআন তেলাওয়াত ও যিকির-আযকারে মশগুল থাকা। এতে সওয়াব বৃদ্ধি পায়।
৮) তারাবীহ নামাজ আদায় করা। ইহা আদায় করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা।
রোযাদারদের জন্য জায়েয বিষয়সমূহ: যা নিয়ে ভুল ধারণা থাকতে পারে
অনেক সময় কিছু বিষয় নিয়ে মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা থাকে যে এগুলো রোযা ভেঙ্গে দেয়। কিন্তু বাস্তবে এগুলো রোযা ভঙ্গের কারণ নয়। এ ধরনের কিছু জায়েয বিষয় নিচে উল্লেখ করা হল:---
১) স্বপ্নদোষের কারণে ঘুমন্ত অবস্থায় বীর্যপাত হওয়া। এক্ষেত্রে গোসল করে পবিত্র হতে হবে।
২) চোখে সুরমা বা ড্রপ ব্যবহার করা। এটি রোযা ভঙ্গের কারণ নয়। যদিও এর স্বাদ গলায় অনুভূত হয়।
৩) শরীর বা মাথায় তেল ব্যবহার করা। যদি তা পেটে প্রবেশ না করে।
৪) ঠান্ডা লাগানোর জন্য গোসল করা বা ভেজা কাপড় ব্যবহার করা। এতে রোযা ভঙ্গ হয় না।
৫) দাঁত থেকে রক্ত বের হওয়া। এক্ষেত্রে রক্ত গিলে ফেলা যাবে না।
৬) যদি অল্প বমি আসে ও তা মুখ ভরে না হয়, তাহলে রোযা ভাঙ্গবে না। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
রোযাদারদের জন্য ওয়াজিব বিষয়সমূহ: অবশ্য পালনীয় বিধান
রোযার ক্ষেত্রে কিছু ওয়াজিব বিষয় রয়েছে। যা পালন না করলে গুনাহ হবে ও রোযা আদায় হবে না। যেমন:---
১) প্রত্যেক রোযার জন্য নিয়ত করা ওয়াজিব। যদিও মুখে নিয়ত উচ্চারণ করা জরুরী নয়, তবে মনে মনে নিয়ত করাই যথেষ্ট।
২) রোযার শর্তসমূহ পালন করা। অর্থাৎ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও যৌন মিলন থেকে বিরত থাকা।
৩) ভাঙ্গা রোযার কাযা আদায় করা। যদি কোন কারণে রোযা ভেঙ্গে যায়, তবে তার কাযা আদায় করা ওয়াজিব।
মান্নাত রোযার বিধানাবলী: একটি গুরুত্বপূর্ণ ওয়াজিব বিধান
মান্নাত একটি ওয়াজিব ইবাদত। যদি কেউ কোন মান্নাত করে রোযা রাখার অঙ্গীকার করে, তবে সেই রোযা আদায় করা তার উপর ওয়াজিব হয়ে যায়। যেমন:---
১) কেউ শর্ত সাপেক্ষে রোযা রাখার নিয়তে কোন কাজ করল ও সেই কাজটি পূর্ণ হলে তার উপর রোযা রাখা ওয়াজিব হবে।
২) মান্নাতের রোযা ভেঙ্গে গেলে তার কাযা আদায় করতে হবে। আর ইচ্ছাকৃতভাবে ভঙ্গ করলে রোযা আদায়ের সাথে সাথে তার কাফ্ফারাও দিতে হবে।
৩) যদি কোন ব্যক্তি মান্নাতের রোযা পালনে শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়ে, তবে তাকে ফিদিয়া দিতে হবে।
শেষ কথা
রোযা একটি মহান ইবাদত। যা আমাদের আত্মিক ও দৈহিক পরিশুদ্ধি এনে দেয়। রোযার মাকরুহ, মুস্তাহাব, জায়েয ও ওয়াজিব বিধানাবলী সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকলে আমরা পূর্ণ সওয়াব নিয়ে রোযা পালন করতে পারব ও অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলত্রুটি এড়িয়ে চলতে পারব। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সঠিকভাবে রোযা পালনের তৌফিক দান করুন…আমিন।
#al_islam_for_bengali_speakers,#জানুনরোজারগুরুত্বপূর্ণমাসায়েল,#মাকরূহ_মুস্তাহাব_জায়েয_ওয়াজিব
আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন সোশ্যাল মিডিয়ায়
• Facebook:- / sajeedahsan11
• Twitter/X:- https://x.com/sajeedahsan11
• Linkedin:- / sajeedahsan11
• Instagram:- / sajeedahsan11
• Reddit:- / any-camp-6768
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: