অশ্বত্থামার জন্ম কিভাবে হয়েছিল? তিনি আসলে কার অবতার ? Immortal ashwathama | ashwathama alive
Автор: Pouranik Kotha Kahini
Загружено: 2023-06-02
Просмотров: 2420
                Описание:
                    অশ্বত্থামার জন্ম কিভাবে হয়েছিল? তিনি আসলে কার অবতার ? Immortal ashwathama | ashwathama alive
অশ্বত্থামা (সংস্কৃত ও হিন্দিতে:अश्वत्थामा) মহাভারতের এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। অশ্বত্থামা হল গুরু দ্রোণ এর পুত্র। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনিতে দুটি ক্ষেত্রে এই নাম পাওয়া যায়। তার একজন হলেন এই অশ্বত্থামা এবং আরেকজন হলেন বনের হাতি। যাকে হত্যা করে ভীম এবং হত্যার কথা যুধিষ্ঠির গুরু দ্রোণকে গিয়ে বললে তিনি যুদ্ধ ক্ষেত্রে তার অস্ত্র পরিত্যাগ করেন।
জন্ম :
অশ্বত্থামা এর পিতার নাম গুরু দ্রোন আর তার মাতার নাম কৃপী। জন্মের সময় অশ্বত্থামা অশ্বের মত শব্দ করেছিলেন বলে তার এইরূপ নামকরণ করা হয়।
যুদ্ধ শিক্ষা :
অশ্বত্থামার পিতা গুরু দ্রোণ ছিলেন একজন ব্রাক্ষ্মণ। ব্রাক্ষ্মণ হয়েও তিনি ক্ষত্রিয়ের মতো যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী ছিলেন। তিনি তার যুদ্ধ শিক্ষা শেখেন তার পিতা ভরদ্দাজ মুণির কাছ থেকে। তার তার পিতার দেওয়া শিক্ষাই তিনি তার ছাত্রদের শেখাতেন। একবার তার বাল্যকালের মিত্র রাজা দ্রুপদের কাছে গেলে তিনি গুরু দ্রোণকে অপমান করেন। আর সেই অপমানের প্রতিশোধ নিতে তিনি হস্তিনাপুরে এসে তার যোগ্য শিষ্য খুঁজতে থাকেন। সেখানে তিনি কৌরব কুমারদের সাথে তার একমাত্র ছেলে অশ্বত্থামাকে যুদ্ধ শিক্ষা দিতেন। গুরু দ্রোন দেখতে পেলেন সেখানে ধনু বিদ্যাতে অর্জুনের বিশেষ দক্ষতা অর্জন করছে, তাই তিনি তার ছেলে অশ্বত্থামাকে সেরা ধনুর্বিদ হবার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকেন। অশ্বত্থামা বহু গুপ্ত অস্ত্র প্রয়োগের কৌশল পিতার কাছ থেকে শিখেছিলেন।
কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ ও অশ্বত্থামা :
কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ এ অশ্বত্থামা কৌরবদের পক্ষ অবলম্বন করেন। আর তার পিতা গুরু দ্রোণ তার ছেলে অশ্বত্থামার স্মেহের কারণে কৌরবদের পক্ষে থাকেন। এই কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধে অশ্বত্থামার বিশেষ অবদান রয়েছে। তিনি পাণ্ডবদের বহু সেনা হত্যা করেন। তাকে বধ করা প্রায় অসমম্ভ হয়ে পড়ে। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে দ্রোণাচার্য অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠলে দ্রোণকে বধ করার জন্য পাণ্ডবগণ শ্রীকৃষ্ণের সাথে পরামর্শ করেন। আর তখন শ্রীকৃষ্ণ পাণ্ডবদের বলেন কোন ভাবে যদি গুরু দ্রোণের কানে অশ্বত্থামার মৃত্যুর খবর পোঁছানো যায় তাহলে সে সময় ধৃষ্টদ্যুম্ন তাঁকে হত্যা করবে। শ্রীকৃষ্ণের পরামর্শ মতে ভীম বনের এক হাতীকে হত্যা করেন। আর সেখানে তখন উপস্থিত ছিলেন যুধিষ্ঠির। আর একমাত্র গুরু দ্রোণ যুধিষ্ঠিরের কথাকে বিশ্বাস করবেন। তাই যুধিষ্ঠির দ্রোণের উদ্দেশ্যে 'অশ্বত্থামা হতঃ- ইতি গজ' (অশ্বত্থামানামক হাতী নিহত হয়েছে) বাক্য উচ্চারণ করেন। ইতি গজ শব্দটি আস্তে বলাতে দ্রোণচার্য মনে করেন যে তাঁর পুত্র অশ্বত্থামার মৃত্যু সংবাদ দেওয়া হয়েছে। এরপর দ্রোণাচার্য অস্ত্র ত্যাগ করলে– ধৃষ্টদ্যুম্ন তাঁকে হত্যা করেন। আর তাতে অশ্বত্থামা ভীষন খেপে যায়।
শেষ জীবনে অশ্বত্থামা :
অর্জুন কর্তৃক কর্ণের মৃত্যুর পরে দুর্যোধন অশ্বত্থামাকে সেনাপতি নিয়োগ করেন। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে যখন দুর্যোধনসহ কৌরবদের সবাই মারা যায় তখন শেষ সময়ে এসে অশ্বত্থামা দুর্যোধনকে বলেন কি করলে দুর্যোধন মৃত্যু কালে খুশিতে মৃত্যু বরণ করতে পারবেন। আর তার উত্তরে দুর্যোধন বলেন তিনি পাণ্ডবদের বংশকে নিঃচিহ্ন করে দেখতে চান। তার মিত্রের কথা রক্ষার জন্য অশ্বত্থামা সাথে সাথে পাণ্ডবদের শিবিরে গমন করেন। তার সাথে ছিলেন কৌরবপক্ষীয় জীবিত আর দুইজন, কৃপাচার্য ও কৃতবর্মা। রাত্রে অশ্বত্থামা দেখেন গাছের ডালে কাকের বাসাকে প্যাঁচা আক্রমন করছে। তিনি ঘুমন্ত অবস্থায় পাণ্ডবদের হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। কৃপ আর কৃত এই নীচ কাজে আপত্তি জানালেও অশ্বত্থামা শুনলেন না। তারা শিবিরে গিয়ে ধৃষ্টদ্যুম্নকে দেখা মাত্র হত্যা করেন। তারপরে অশ্বত্থামা দ্রৌপদীর পাঁচ ঘুমন্ত পুত্রকে, শিখণ্ডী ও অন্যান্য পাণ্ডব বীরদের হত্যা করেন। উল্লেখ্য, এই সময় পঞ্চপাণ্ডব, কৃষ্ণ গঙ্গাতীরে অবস্থান করছিলেন। তারা এই খবর পেলে অশ্বত্থামা পলায়ন করেন। পুত্রশোকাহত দ্রৌপদীকে শান্ত করতে তাকে যেকোনো প্রকারে বধ করতে যান অর্জুন। তাদের দেখে অশ্বত্থামা শক্তিশালী ব্রহ্মশির অস্ত্র প্রয়োগ করলে অর্জুন বাধ্য হন ব্রহ্মশির দিয়ে ব্রহ্মশির প্রতিরোধ করতে। ব্যসদেবের মধ্যস্থতায় বিপর্যয় নিবৃত্ত হয় কিন্তু সেটা গিয়ে উত্তরার গর্ভে থাকা সন্তানের উপর পড়ে।
অশ্বত্থামার শাস্তি :
অশ্বত্থামার এই পাপের সাজা হিসেবে তার কাছ থেকে শ্রীকৃষ্ণ তার মাথার মনিটি কেড়ে নেন। যা ছিল তার বীরত্ব ও গৌরবের প্রতীক। অভিশাপ দেন যে কখনো অশ্বত্থামার মৃত্যু হবে না। অশ্বত্থামা চাইলেও কোনদিন মৃত্যুবরণ করতে পারবেন না। আজীবন অমর থাকবেন। এই ঘটনার পর অশ্বত্থামাকে আর কোথাও পাওয়া যায়নি। তিনি মনিহারা শৌর্যহারা হয়ে চলে যান।
➤ If you find this video helpful and informative, please hit the LIKE button, make a COMMENT & SHARE the video with your friends. Don't forget to SUBSCRIBE to this channel and hit the BELL ICON to get more informative videos on your feed. Hare Krishna.
➤ Disclaimer: 
Copyright Disclaimer under Section 107 of the copyright act 1976, allowance is made for fair use for purposes such as criticism, comment, news reporting, scholarship, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational or personal use tips the balance in favour of fair use.                
                
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
- 
                                
Информация по загрузке: