ফেরেশতা বা জিনের উপাসনা অবৈধ।সূরা সাবা (৩৬-৫৪) || শেষ পর্ব || Mau.Mozammel Haque
Автор: Tafsirul Wafi
Загружено: 2025-06-26
Просмотров: 51
Описание:
#tafsirul_wafi_mozammel_haque
✔আলোচক : আল্লামা মোজাম্মেল হক
©পরিবেশনায় : তাফসীরুল ওয়ফী
©আলোচনার বিষয়:
📖 সূরা সাবা (৩৬-৫৪) | আয়াতভিত্তিক আলোচনা | ধন-সম্পদ, ফেরেশতা পূজা ও কেয়ামতের বাস্তবতা
এই পর্বে আমরা সূরা সাবা এর ৩৬ থেকে ৫৪ নম্বর আয়াত নিয়ে আলোচনা করেছি। এই আয়াতগুলোতে আল্লাহ তায়ালা মানুষের ভুল ধারণা দূর করে দিয়েছেন যে ধন-সম্পদই আল্লাহর সন্তুষ্টির প্রমাণ নয়। ইমান ও সৎকর্মই হলো আসল সফলতার মাপকাঠি।
এছাড়াও আলোচনায় উঠে এসেছে —
🔹 আল্লাহর পথে ব্যয়ের গুরুত্ব
🔹 ফেরেশতা ও জিনদের পূজা অস্বীকৃত
🔹 রাসূল (সা.)-এর দাওয়াত ছিল স্বার্থহীন
🔹 মিথ্যা বিশ্বাস ও অহংকারের পরিণতি
🔹 কেয়ামতের দিনের ভয়াবহতা ও পলায়ন ব্যর্থতা
এই আয়াতগুলো আমাদের চিন্তার দৃষ্টিকে শাণিত করে, যাতে আমরা দুনিয়ার মোহে বিভ্রান্ত না হয়ে আখিরাতের মুক্তির পথে চলতে পারি।
📌 পুরো আলোচনার মাধ্যমে সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য স্পষ্টভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।
🎧 দেখুন ও শেয়ার করুন হেদায়েতের বার্তা ছড়িয়ে দিতে।
সূরা সাবা (৩৬-৫৪) আয়াতসমূহের আলোচ্য বিষয় নিচে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হলো:
আয়াত ৩৬:
সম্পদ ও মর্যাদার মাপকাঠি:
কাফিরদের ধারণা ছিল, ধন-সম্পদ থাকলেই আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ হয়। আল্লাহ তা অস্বীকার করে বলেন, তিনি যাকে ইচ্ছা রিজিক বাড়িয়ে দেন ও কমিয়ে দেন – এটা কোনো পুরস্কার বা শাস্তির মাপকাঠি নয়।
আয়াত ৩৭:
কামিয়াবির আসল মাপকাঠি:
আল্লাহর নিকট মর্যাদা অর্জন নির্ভর করে ইমান ও সৎকর্মের উপর, ধন-সম্পদের উপর নয়।
আয়াত ৩৮-৩৯:
আল্লাহর পথে ব্যয়কারীদের পুরস্কার:
যারা আল্লাহর পথে ব্যয় করে, আল্লাহ তাদের প্রতিদান দেন। তিনি রিজিক বাড়িয়ে দেন, সবই তাঁর হাতে।
আয়াত ৪০-৪১:
ফেরেশতাদের উপাসনার অস্বীকার:
কেয়ামতের দিন ফেরেশতাদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে, ‘তোমাদের কি পূজা করা হতো?’ তারা বলবে, ‘না, ওরা জিনদের পূজা করতো।’
👉 ইঙ্গিত: মুশরিকরা ফেরেশতাদের উপাসনা করত, কিন্তু ফেরেশতারাই তা প্রত্যাখ্যান করবে।
আয়াত ৪২:
কেয়ামতের দিন অসহায়ত্ব:
সেদিন বন্ধুত্ব, সাহায্য কিছুই চলবে না। অপরাধীরা শাস্তি পাবে এবং তাদের কোনো আশ্রয়দাতা থাকবে না।
আয়াত ৪৩:
কাফিরদের অবিশ্বাস ও কটুক্তি:
তারা কুরআনকে মিথ্যা বলে, রাসূলকে বিদ্রূপ করে এবং বলে, ‘এ তো আমাদের মতোই একজন মানুষ।’ তারা অহংকার ও কপটতার কারণে সত্য গ্রহণ করেনি।
আয়াত ৪৪-৪৫:
আগের কোনো সতর্ককারী আসেনি:
মক্কার মুশরিকদের পূর্বপুরুষদের কাছে কোনো নবী আসেনি, তবুও তারা অহংকার করে নবীকে অস্বীকার করে। অথচ পূর্ববর্তীদের ধ্বংসের ইতিহাস তারা জানে।
আয়াত ৪৬:
একটিমাত্র আহ্বান – “একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর পথে ফিরে এসো”:
রাসূল একটাই কথা বলেন: একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর জন্য দাঁড়াও, দলবদ্ধ বা একা — চিন্তা করো। তিনি কোনো বিকারগ্রস্ত ব্যক্তি নন।
আয়াত ৪৭:
পুরস্কারের প্রত্যাশা নয়:
রাসূল কোনো পারিশ্রমিক চান না। তার দায়িত্ব কেবল সত্য প্রচার। উপকার তো তাদের নিজেদেরই হবে।
আয়াত ৪৮:
সত্য উদ্ভাসিত হয়ে গেছে:
কাফিরদের প্রতি ঘোষণা – সত্য এসেছে, এখন মিথ্যা কোনো উপকারে আসবে না।
আয়াত ৪৯:
মিথ্যা অকার্যকর:
সত্য আসলে মিথ্যা বিলুপ্ত হয়। মিথ্যা না সৃষ্টি করতে পারে, না টিকে থাকতে পারে।
আয়াত ৫০:
রাসূল নিজের কল্যাণ চায়:
রাসূল বলেন, আমি পথভ্রষ্ট হলে নিজের ক্ষতিই হবে, আর সঠিক পথে থাকলে তা আমার প্রভুর দ্বারা।
আয়াত ৫১-৫৪:
কেয়ামতের দিন পলায়ন ও হতাশা:
কাফিররা সেই দিন পালাতে চাইবে, কিন্তু ধরা পড়বে। তারা দুনিয়াতে ঈমান আনে নাই, এখন আর তা কবুল হবে না। তারা তো সন্দেহ করেই কাটিয়ে দিয়েছে।
সারাংশ আলোচ্য বিষয়সমূহ:
ধন-সম্পদ নয়, ইমান-আমলই মর্যাদার মাপকাঠি
ফেরেশতা বা জিনের উপাসনা অবৈধ
রাসূল পুরস্কার চান না, তিনি কেবল হেদায়েতদাতা
মিথ্যার কোনো ভিত্তি নেই, সত্যই স্থায়ী
কেয়ামতের দিন অস্বীকারকারীরা বঞ্চিত ও হতাশ হবে
অধ্যক্ষ মাওলানা মোজাম্মেল হক সাহেবের
লিখিত তাফসীর ও বই পেতে যোগাযোগ করুন
মোবাইল:-- 01758520096
WhatsApp/Imo-- 01758520096
"তাফসীরুল ওয়াফী( ০১ম থেকে ১০ম খন্ড) এবং 'আলো-আঁধার'
সিরিজের বইসমূহ
১.ঈমান ও শিরক,
২.ঈমান ও আখিরাত,
৩.সত্য দলের পরিচয়,
৪.মানুষের বর্তমান
৫.মানুষের অতীত,
৬.মানুষের ভবিষ্যত
৭.কুরআন-হাদিস-ফিকাহ
৮.কুরআনের পরিচয়
৯. ‘স্বামী-স্ত্রী একে অপরের পোশাক’
১০. পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান একদিন
১১. সংস্কার
১২. রাসূল স. এর সংক্ষিপ্ত জীবনী।
দেশের যে কোন স্থানে কুরিয়ারযোগে তাফসীর ও বই পেতে যোগাযোগ করুন
এই নম্বরে 01758520096 ধন্যবাদ ।
#mozammel_haque_barishal
#mozammel_haque_new_waz
#bangla_new_waz
#tafsirulwafi
#সূরা_সাবা
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: