ঐতিহাসিক কারবালার লোমহর্ষক ঘটনা || কি ঘটেছিল কারবালা প্রান্তরে ||
Автор: Songroho
Загружено: 2023-10-07
Просмотров: 7
Описание:
কারবালার প্রান্তরে ইমাম হোসাইন (রা.)-এর শাহাদাত মুসলিম ইতিহাসের সবচেয়ে মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক ঘটনা। ৬১ হিজরির ১০ মহররম পবিত্র আশুরার দিনে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শাহাদাত বরন করেছিলেন নবী-দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রা.)। বড়ই নির্মম এ ইতিহাস। যে ইতিহাস সত্যের পথে জালেমের বিরুদ্ধে লড়াই করার; যে ইতিহাস রক্ত দেওয়ার। এ মর্মান্তিক ঘটনাটি এতই লোমহর্ষক ও হৃদয় বিদারক যে, সারা বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমান আজো তা ভুলতে পারেনি-পারবেও না। কী ঘটেছিল সেদিন কারবালার প্রান্তরে? হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) এর সঙ্গে কী আচরণ করেছিল ইসলামের চির শক্র ইয়াজিদ বাহিনী?
কারবালার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
আমীরে মুয়াবিয়ার মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে ইয়াজিদ সমস্ত রাজ্যের (মদিনা, সিরিয়া, কুফা ইত্যাদি) শাসনভার গ্রহণ করে। তখন ইমাম হোসাইন (রা.) মদিনায় ছিলেন। ইয়াজিদের শাসনভার গ্রহণের বিষয়ে তৎকালীন সময়ের অধিকাংশ সাহাবা একমত ছিলেন না। অনেকটা অস্ত্রের জোরে সে মুসলমানদের ক্ষমতা দখল করে।
ইয়াজিদ মদিনার গভর্নরের মারফত, ইমাম হোসাইন (রা.)-কে এজিদের আনুগত্য স্বীকার করতে বলে। কিন্তু নবীজি (স.)-এর আদরের নাতি সাচ্চা ঈমানদার হয়ে একজন ইসলাম বিরোধী, জুলুমবাজ শাসকের আনুগত্য করা কি সম্ভব? স্বাভাবিকভাবে তিনি আনুগত্যে রাজী হননি।
তখন ইয়াজিদ মদিনার গভর্নরকে নির্দেশ দেয়, বাইয়াত গ্রহণ না করলে ইমাম হোসাইনকে কারাগারে নিক্ষেপ করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে। মদিনার গভর্নর তখন ভীষণ বিপদে পড়ে যান। তিনি কিভাবে প্রিয়নবীজির নাতীকে কারাগারে নিক্ষেপ করবেন? তিনি তখন হজরত ইমাম হোসাইন (রা.)-কে অনুরোধ করেন মদিনা ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যেতে। ইমাম হোসাইন (রা.) বাধ্য হয়ে তখন মক্কায় হিজরত করেন।
হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) ছিলেন মহানবী (স.)-এর আদর্শের প্রতীক। সেজন্যই তিনি ইয়াজিদের সঙ্গে আপস করেননি। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, চরিত্রহীন ইয়াজিদ ক্ষমতার জোরে সত্য-ন্যায়ের মসনদে চেপে বসেছিল, তখন সমাজ ছেয়ে গিয়েছিল অনাচারের বিষবাষ্পে। তাকওয়া-তাহারাত ভুলে গিয়েছিল ইয়াজিদ। সে খোদার বিধানকে তোয়াক্কা না করে লিপ্ত হয়েছিল বেগানা নারীগমনে। অসহায়দের সেবার পরিবর্তে সে খুলেছিল আমোদ-প্রমোদের দুয়ার।
তার এসব কার্যকলাপে কুফার লোকেরা অসন্তুষ্ট হয়ে ইমাম হোসাইন (রা.)-এর কাছে চিঠি পাঠিয়ে জানালো যে, তারা মুসলিম জাহানের ইমাম হিসেবে ইয়াজিদকে নয়, হজরত হোসাইন (রা.)-কেই চায়। প্রায় ১৫০ মতান্তরে ৫০০ চিঠি পাঠিয়ে হুসাইন (রা.)-এর হাতে খেলাফতের বাইয়াত করতে আগ্রহ প্রকাশ করে তারা। হুসাইন (রা.) প্রকৃত অবস্থা যাচাইয়ের জন্য চাচাতো ভাই মুসলিম ইবনে আকিল (রা.)-কে কুফায় পাঠান। মুসলিম (রা.) কুফায় এসে দেখলেন ঘটনা সত্য। এখানকার অধিকাংশ লোকই হজরত হোসাইন (রা.)-কে খলিফা হিসেবে চান এবং ইমাম হোসাইন (রা.)-এর পক্ষে তাঁর হাতে বাইয়াত নিতে থাকেন। তিনি দ্রুত সেই খবর ইমাম হোসাইনকে (রা.)-কে জানালেন।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: