কুরআন-সুন্নাহবিরোধী আইন সরকার করবে না? কথাটা কি সত্য? QBS LIVE 1773
Автор: Quran Based Solutions
Загружено: 2025-05-27
Просмотров: 476
Описание:
কুরআন-সুন্নাহবিরোধী আইন সরকার করবে না? কথাটা কি সত্য? QBS LIVE 1773
#islamic #islam #quran #qbs #jokes
🔹 শব্দার্থ বিশ্লেষণ:
কুরআন: ইসলাম ধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ, যা আল্লাহ কর্তৃক নবী মুহাম্মাদ (সা.)-এর উপর অবতীর্ণ।
সুন্নাহ: নবী মুহাম্মাদ (সা.)-এর জীবনাচার, বাণী, কাজকর্ম এবং অনুমোদন।
বিরোধী আইন: এমন আইন বা নীতিমালা যা কুরআন-সুন্নাহর নির্দেশনার বিরুদ্ধে যায়।
সরকার করবে না: সরকারকে নিষিদ্ধ বা সীমাবদ্ধ করা হয়েছে যাতে সে এসব আইন প্রণয়ন বা কার্যকর না করে।
🔹 বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
১. ইসলামী শাসনব্যবস্থার ভিত্তি
ইসলামী শাসনব্যবস্থায় আল্লাহকে সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব হিসেবে স্বীকার করা হয়। সুতরাং কোনো আইন প্রণয়নের সময় কুরআন ও সুন্নাহর নির্দেশনা থেকে সরে আসা ইসলামিক দর্শনে গ্রহণযোগ্য নয়।
২. শরিয়াহর সর্বোচ্চতা
কুরআন ও সুন্নাহ শরিয়াহর প্রধান উৎস। শরিয়াহর লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের জীবনে ন্যায়বিচার, কল্যাণ, শৃঙ্খলা ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করা। তাই ইসলামি রাষ্ট্রে আইন প্রণয়ন করার সময় কুরআন ও সুন্নাহকে সর্বোচ্চ মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা অপরিহার্য।
৩. বিধান প্রণয়নের সীমা
কোনো সরকার যদি কুরআন-সুন্নাহবিরোধী আইন করে, তাহলে তা ইসলামি নীতির পরিপন্থী। যেমন:
সুদের অনুমোদন — কুরআনে সুদকে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে (সূরা বাকারা: ২৭৫)।
জেনার বৈধতা — কুরআনে তা হারাম এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ (সূরা নূর: ২)।
নারীদের পর্দা অমান্য করার আইন — কুরআনে স্পষ্টভাবে হিজাবের নির্দেশনা রয়েছে (সূরা নূর ও আহযাব)।
৪. ইতিহাস ও খিলাফত ধারণা
প্রথম যুগের খিলাফত বা ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থায়, খলিফারা কুরআন ও সুন্নাহকে ভিত্তি করে শাসন করেছেন। তাঁরা তাঁদের মতামত ব্যক্ত করলেও তা কুরআন-সুন্নাহর বিরোধী হয়নি।
৫. আধুনিক প্রসঙ্গ
বর্তমানে অনেক মুসলিমপ্রধান দেশে ধর্মনিরপেক্ষ শাসনব্যবস্থা বিদ্যমান, যেখানে অনেক আইন কুরআন-সুন্নাহর পরিপন্থী হতে পারে। ইসলামী চিন্তাবিদরা মনে করেন, যদি এসব দেশ ইসলামী আদর্শে পরিচালিত হতে চায়, তবে আইন প্রণয়ন করতে হবে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে।
🔹 কুরআন ও হাদীসের প্রমাণ:
সূরা আন-নিসা, ৪:৫৯
"হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, রাসূলের আনুগত্য কর এবং তোমাদের মধ্য থেকে যারা কর্তৃত্বপ্রাপ্ত তাদের আনুগত্য কর।"
🔸 তবে যদি দ্বন্দ্ব হয়, তবে কিসে ফিরিয়ে দিতে বলা হয়েছে?
"যদি তোমরা কোনো বিষয়ে মতবিরোধে লিপ্ত হও, তাহলে তা আল্লাহ ও রাসূলের দিকে প্রত্যাবর্তন করো।"
হাদীস (আবু দাউদ, হাদীস: ২৮৫৮)
“তোমাদের মধ্যে কেউ যদি কোনো অন্যায় দেখো, তাহলে তা হাত দিয়ে প্রতিহত করো; যদি তা না পারো, তাহলে মুখ দিয়ে বলো; যদি তা-ও না পারো, তবে মনে মনে ঘৃণা করো — আর এটাই হচ্ছে সর্বনিম্ন ঈমান।”
🔹 উপসংহার:
"কুরআন-সুন্নাহবিরোধী আইন সরকার করবে না" — এটি ইসলামী শাসনব্যবস্থার একটি মৌলিক নীতি। এর মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয় যে, শাসকগণ আল্লাহর বিধান অনুযায়ী ন্যায়বিচার করবেন এবং কোনো আইন বা নীতি এমন হবে না যা ইসলামের মূল শিক্ষা ও আদর্শকে লঙ্ঘন করে।
Join this channel to get access to the perks:
/ @qbs
আমাদের প্রকাশনাসমূহঃ
১) আল ক্বুরআন কি কেন?
২) আল ক্বুরআনের আলোকে ঈমানের ঘোষণা।
৩) আল ক্বুরআনের আলোকে ছলাত, তাসবী ও দুয়া।
৪) আল ক্বুরআনের আলোকে ছলাত শিক্ষা।
৫) ঝাকাত ও খুমুসের বিধান।
৬) হজ্জ, উমরাহ ও ক্বুরবান এর বিধান।
৭) আল ক্বুরআনের আলোকে ছিয়ামের বিধান।
৮) ক্বুরআনিক আরবি শিশুদের জন্য।
৯) ভিডিও লিংকঃ • ক্বুরআন দিয়ে জীবন গড়ুন !
Ramadan Calendar 2024 Download Link:
https://play.google.com/store/apps/de...
Subscribe to the New Channel:
FOLLOW QURAN: / @followqrn
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: